‘ঘুমপরী’ মুক্তির পর দর্শকদের প্রশংসায় তিশা

fec-image

তানজিন তিশার নাটকে দীর্ঘ ক্যারিয়ারে বেশ জনপ্রিয়তা থাকার পরও ব্যক্তিজীবনে কিছুটা এলোমেলো। প্রায়শই বিতর্কিত কাণ্ডে সংবাদের শিরোনাম হন।

তবে সেসব ঝুট-ঝামেলা পাশ কাটিয়ে অভিনয়েই বরাবর মন দেন তিনি। সাফল্যও পান হাতে হাতে। এদিকে শোবিজের অন্য তারকারা ওটিটি কনটেন্টের দিকে ঝুঁকলেও, এ অভিনেত্রীর তেমন কোনো তাড়াহুড়া ছিল না। নাটকে নিয়মিত দেখা গেলেও, ওটিটিতে তার উপস্থিতি ছিল না।

তবে এ নিয়ে তিশার ছিল না কোনো আক্ষেপ। তিনি চেয়েছেন সময় নিয়ে কাজ করতে, যেন অভিষেক কাজটি দিয়েই বাজিমাত করতে পারেন। অবশেষে তাই হলো। গত ২০ ফেব্রুয়ারি ওটিটির একটি পেইড ভার্সনে মুক্তি পায় তিশা অভিনীত ওয়েব ফিল্ম ‘ঘুমপরী’। এটি পরিচালনা করেছেন জাহিদ প্রীতম। ফিল্মটিতে জ্যোতি নামে একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিশা। হাসপাতালের বেডে কোমায় থাকা চরিত্রটি দিয়ে নতুন করে নজর কাড়লেন এ অভিনেত্রী। ‘ঘুমপরী’ মুক্তির পর দর্শকদের প্রশংসায় সিক্ত হচ্ছেন তিনি।

তানজিন তিশা বলেন, ‘এ ফিল্মের গল্পটা দর্শক দারুণভাবে আপন করে নিয়েছে। যখন শুটিং করছিলাম তখনই মনে হয়েছে দর্শক গ্রহণ করবেন। কিন্তু ভাবছিলাম আমার চরিত্রটি দর্শক কীভাবে নেবে! আমিও কাজটিকে চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিয়েছিলাম। অবশেষে মনে হচ্ছে চ্যালেঞ্জ উতরে গেছি আমি। রিলিজের তিন সপ্তাহ হয়ে গেছে, এখনো দর্শকের রেসপন্স পাচ্ছি। এ অনুভূতি অদ্ভুত ভালোলাগার। সবাই যেভাবে ভালোবাসা অব্যাহত রেখেছে এটি আমার ক্যারিয়ারে স্পেশাল হয়ে থাকবে।’

অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘অসংখ্য দর্শকদের মন্তব্য আমাকে নাড়া দিয়েছে। বেশিরভাগই বলেছে, শেষের দিকে গল্পের ঘোর থেকে বের হতে পারছে না। মনে হচ্ছে, আমার চ্যালেঞ্জ নেওয়া সার্থক হয়েছে।’

এ চরিত্র নিজের মধ্যে ধারণ করার চ্যালেঞ্জটা কী ছিল জানতে চাইলে তিশা বলেন, ‘ঘুমপরীকে নিয়েই এ গল্প। আর সেটি হচ্ছি আমি। যারা এটি দেখেছেন তারাও এতে একমত। কিন্তু স্ক্রিনে আমার প্রেজেন্স একটু কম। যখন স্ক্রিনে আমি মিসিং থাকব না, তখন মানুষ যেন ঘুমপরীকে খোঁজে এটাই ছিল আমার বড় চ্যালেঞ্জ। বেডে শুয়ে থাকাকালীন সংলাপ না দিয়ে আমার তাকিয়ে থেকে অ্যাক্টিং করাটা ছিল অনেক চ্যালেঞ্জের।

অন্যদিকে, চঞ্চল মেয়ের ক্যারেক্টারে দর্শক অন্য লুকেও দেখেছে। এটাও ছিল চ্যালেঞ্জের। সব মিলিয়ে জ্যোতি হয়ে ওঠা এবং পুরো কাজটাই ছিল চ্যালেঞ্জের। সেদিক থেকে দর্শকদের ভালোবাসায় মনে হচ্ছে চ্যালেঞ্জ সার্থক।’

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন