চকরিয়ায় দলিল জালিয়াতি চক্রের ৫ সদস্যের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা
কক্সবাজারের চকরিয়া সাব রেজিস্ট্রি অফিসে একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে জাল দলিল সৃজন করে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছে। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। যা রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখকদের ওপর আস্থা হারিয়ে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে দলিল জালিয়াতি চক্রের মূল হোতাসহ ৫ জনের নামে গ্রেফতার পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
চকরিয়া সাব রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক ফরিদুল ইসলাম, জাল দলিল তৈরির মূল হোতা আবদুল হামিদ, জাবেদ আমিন, মানিকপুর এলাকার লামং রাখাইন ও উপচিং রাখাইনের নামে রবিবার চকরিয়া সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী ও চকরিয়া এডভোকেট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মিফতাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, চকরিয়া সাব রেজিস্ট্রি অফিসে দীর্ঘদিন ধরে কিছু প্রতারক চক্র জালদলিল তৈরি করে মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছে। এমন একটা জাল দলিল সনাক্ত হলে গত বছরের ১৭ অক্টোবর দলিল লেখক কাজল বড়ুয়া বাদী হয়ে উক্ত দলিলের গ্রহীতা লামং রাখাইন ও উপছিং রাখাইনের বিরুদ্ধে চকরিয়া সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। মামলাটি কক্সবাজারের সিআইডি পুলিশ দীর্ঘদিন তদন্ত শেষে চকরিয়া সাব রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক ফরিদুল ইসলাম, তার সহকারী আবদুল হামিদ, মানিকপুর এলাকার জাবেদ আমিন, লামং রাখাইন ও উপচিং রাখাইনের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। বিজ্ঞ আদালত প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে উল্লেখিত ৫ জনের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
দলিল লেখক ফরিদুল ইসলাম জাল দলিল তৈরি চক্রের সাথে জড়িত নয় উল্লেখ করে বলেন, আমার অফিসের সহকারী আবদুল হামিদ আমার সিল দিয়ে ওই নকল দলিল তৈরি করেছিল। বিষয়টি তিনি আইনগতভাবেও মোকাবিলা করবেন বলে জানান।
চকরিয়া দলিল লেখক সমিতির সভাপতি জাকের হোসেন ও সম্পাদক শরিফুল ইসলাম জানান, যারা জাল দলিল তৈরি করে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করেছে, ওই চক্রের সাথে জড়িতদেের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চকরিয়ার সাব রেজিস্ট্রিার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, যারা জাল দলিল তৈরি করে মানুষের সাথে প্রতারণা করে তারা দেশ ও জাতির শত্রু। ওই প্রতারক চক্র সনাক্ত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ এবং এই চক্রের সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।