চকরিয়ায় কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার ৭

fec-image

কক্সবাজারের চকরিয়ায় উপকূলীয় বদরখালী ব্রীজের নিচে প্যারাবনে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ৩২ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস অভিযানে ৭ আসামিকে গ্রেফতার করেছে চকরিয়া থানা পুলিশ।

সোমবার সকাল ১০টা থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত হলেন, উপজেলার বদরখালী ইউনিয়ননের ৮ নম্বর ওয়ার্ডস্থ কলেজ পাড়া এলাকার মো. ইছহাকের ছেলে মোহাম্মদ কাজল (২৩), একই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ঢেমুশিয়া পাড়া এলাকার আবদুল সোবহানের ছেলে মো. শাহজাহান (২৮) ও তিন নম্বর ওয়ার্ডের টুটিয়াখালী পাড়ার মো: বশির (৪৫), চার নম্বর ওয়ার্ডের বাজারপাড়া এলাকার জিয়াবুল করিমের ছেলে তাজুল ইসলাম (১৮), নুরুল আফসারের ছেলে সজিব (২৫), টুটিয়াখালী পাড়ার বশির আহমদের ছেলে ছোটন প্রকাশ চোরা ছোটন (২৫) ও দাতিনাখালী পাড়ার আবু ছাহে ছেলে অমিত হাসান (২৫)।

জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই কিশোরী ঘটনার দিন রাতে বাঁশখালী বোনের বাড়ি থেকে সিএনজি গাড়ি যোগে মহেশখালী নিজ বাড়িতে যাচ্ছিল। গত রবিবার রাত ১০টার দিকে বদরখালী ব্রীজ থেকে মহেশখালীগামী সিএনজি অটোরিকশায় উঠে। পরে ব্রীজের উপর গিয়ে গাড়িটি নষ্ট হওয়ার অযুহাত দেখিয়ে সিএনজি চালক গাড়ি থেকে কিশোরীকে নামিয়ে দেয়। এ সময় চারজন যুবক মুখ চেপে ধরে ভয় দেখিয়ে সড়কের পার্শ্ববর্তী প্যারাবনের বেড়িবাঁধে নিয়ে যায়। পরে ৮ যুবক মিলে ওই কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। এরপর কিশোরী জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। কিশোরীর জ্ঞান ফিরলে সে সড়কে এসে চিৎকার দিলে লোকজন জড়ো হয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বদরখালী জেরারেল হাসপাতাল পরে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনজুর কাদের ভুঁইয়া বলেন, বদরখালী এলাকায় কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় ইতিমধ্যে ৭ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের কয়েকটি টিম কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। খুব শীঘ্রই ঘটনার সাথে আরো যারা সম্পৃক্ত রয়েছে তাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হব।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন