চকরিয়ায় বনবিভাগের অভিযানে ৫টি ঝুপড়ি ঘর উচ্ছেদ, ১ একর তামাক ক্ষেত ধ্বংস

fec-image

কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের নিয়ন্ত্রণাধীন ফাঁসিয়াখালী বনবিটের উচিতার বিল মৌজায় বনবিভাগ অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে গড়ে তোলা ৫টি ঝুপড়ি ঘর উচ্ছেদ করা হয়েছে। এসময় অবৈধ দখলে নেয়া বনভূমির জায়গায় তামাক ক্ষেত গুড়িয়ে দিয়ে বনবিভাগের ১ একর জায়গা অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে দখলমুক্ত করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত ফাঁসিয়াখালী বনবিটের উচিতারবিল মৌজায় রেঞ্জ কর্মকর্তা মেহরাজ উদ্দীনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

জানা গেছে, কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের আওতাধীন ফাঁসিয়াখালী বনবিটের উচিতারবিল মৌজায় বনভূমির জায়গায় বেশকিছু অবৈধ দখলদার ৫টি ঝুপড়ি ঘর নির্মাণ করেন। এছাড়াও বনবিভাগের জায়গায় অবৈধভাবে দখলদার বাহিনী ৫টি ঝুপড়ি ঘর নির্মাণ ছাড়াও বিশাল এলাকায় তামাক ক্ষেতের চাষাবাদ করেন। বনবিভাগ খবর পেয়ে

বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানের সময় অবৈধভাবে বনভূমি দখলে নিয়ে নির্মানাধীন ৫টি ঝুপড়িঘর ও তামাক ক্ষেত গুড়িয়ে দেয়া হয়। এ সময় বনের ১ একর জায়গা দখল উচ্ছেদ করে বনভূমি দখলমুক্ত করা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি জানান, ফাঁসিয়াখালী বনবিটের উচিতারবিল এলাকার বনবিভাগের জায়গার ভেতরে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী লোকের নেতৃত্বে রাতারাতি বেশকিছু ঘর নির্মাণ পূর্বক জায়গা দখল করে ঘেরাবেড়া দেয়। এছাড়াও বনের ভেতরের চাষযোগ্য বিপুল পরিমাণ জায়গাতে অবৈধ ভাবে তামাক ক্ষেতের চাষাবাদ করেন। মূলত স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় অবৈধ দখলদার হিসেবে বনবিভাগের জায়গা দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেন এসব ভূমিদস্যুরা। বনবিভাগ কর্তৃপক্ষ অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে এসব জায়গা টিকিয়ে রাখা কখনো সম্ভব হবে না বলে তারা দাবি করেন।

ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মেহরাজ উদ্দীন বলেন, কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষকের নির্দেশে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত ফাঁসিয়াখালী বিটের উচিতার বিল মৌজায় বন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে বনের ভেতরে গড়ে তোলা অবৈধ ৫টি বসতি দখল উচ্ছেদ পূর্বক বনের ১ একর তামাক ক্ষেত গুড়িয়ে জায়গা দখলমুক্ত করা হয়েছে।বন, বন্যপ্রাণী ও বনজ সম্পদ রক্ষায় নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে তিনি জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন