চকরিয়ার মাদরাসা ও এতিমখানার জমি জবর দখলে নিয়ে পাকা দালান নির্মাণ

chakaria madrasah pic 15-6-16
চকরিয়া প্রতিনিধি :
চকরিয়া উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের বেতুয়াবাজারস্থ হযরত ফাতিমা (রা.) দারুল কোরআন একাডেমী, এতিমখানা ও হেফজখানার দীর্ঘ ৪০বছরের ভোগ দখলীয় ও মালিকানাধীন জমি এবং স্থাপিত কাঁচা ঘর ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়ে স্থানীয় আলতাফ হোসেন নামে এক ব্যক্তি অবৈধভাবে জবর দখলে নিয়ে বাণিজ্যিক ভবন (পাকা দালান) নির্মাণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাদরাসা ও এতিমখানা কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় সচেতন মহল এতে নিষেধ করলেও তিনি তোয়াক্কা না করে নির্মাণকাজ অব্যাহত রেখেছেন। এনিয়ে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় অধিবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেতুয়াবাজারস্থ হযরত ফাতিমা (রা.) বালিকা আলিম মাদরাসা, তৎসংলগ্ন দারুল কোরআন একাডেমী, এতিমখানা ও হেফজখানাটি দীর্ঘ ৪০বছর পূর্বে এলাকার ৪ জন জমিদারের জমি দানের মাধ্যমে এলাকার সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা নিয়ে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এর পর থেকে সুষ্ঠু সুন্দর ও সুচারুভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে মাদরাসা,নুরানী, এতিমখানা ও হেফজখানা। অভিযোগ উঠেছে, বিএমচর ইউনিয়নের পাহাড়িয়াপাড়া এলাকার আবুল কালামের পুত্র আলতাফ হোসেন নামে এক ব্যক্তি মাদরাসা, এতিমখানা ও হেফজখানার কাঁচা ঘর ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়ে ও মাঠ দখল করে জোর পূর্বক পাকা দালান (বাণিজ্যিক ভবন) নির্মাণ করছেন।

অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে হযরত ফাতিমা (রা.) দারুল কোরআন একাডেমী, এতিমখানা ও হেফজখানা পরিচালনা কমিটির সভাপতি গোলাম মাওলা জানান, দখল করার সময় আলতাফকে একাধিকবার নিষেধ করা হয়েছে। এরপরও নির্মাণকাজ অব্যাহত রেখেছে। এমনকি হেফজখানা-এতিমখানার কাঁচা ঘর ভেঙ্গে টিন-বেড়া,গাছ-পালা পযর্ন্ত নিয়ে গেছে। এনিয়ে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ করবেন বলেও জানান।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাহেদুল ইসলাম বলেন, মাদরাসা, হেফজখানা ও এতিমখানার জমি জবর দখলের বিষয়টি সঠিক হয়ে থাকলে ও অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন