parbattanews

চকরিয়ায় অগ্নিকাণ্ডে দুটি বসতঘর পুড়ে ছাই

কক্সবাজারের চকরিয়ায় অগ্নিকাণ্ডে দুটি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে দুই পরিবারের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটেছে বলে ধারণা করছেন ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকজন।

শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার চিরিংগা ইউনিয়নের বুড়িপুকুরস্থ হিন্দুপাড়া এলাকার নিরঞ্জন দে ও কালু দে’র বসতঘরে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের স্বজন গৌরাঙ্গ দে বলেন, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে হঠাৎ আগুন লাগে। বাড়ি দুটি একসাথে হওয়ায় মুহূর্তের মধ্যে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বসতঘরে থাকা লোকজন প্রাণে রক্ষা পেলেও তারা কোনো ধরণের জিনিসপত্র বসতঘর থেকে বের করতে পারেনি। পরে স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

চকরিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা মো. সাইফুল হাসান বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে এলাকার লোকজন জানিয়েছে। তবে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনো পর্যন্ত ধারণা করা সম্ভব নয়।

এদিকে, অগ্নিকাণ্ডে বসতঘর পুড়ে যাওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলার নবাগত নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, চিরিংগা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন, নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান জামাল হোসেন চৌধুরী, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও), হারুনুর রশিদ ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তপন কান্তি দাশ।

চকরিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সংবাদ জেনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তাৎক্ষনিকভাবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে প্রাথমিকভাবে শীতের কম্বল তুলে দেয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা তৈরি করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। জেলা প্রশাসনের অনুদান পাওয়ার সাথে সাথে তা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের কাছে প্রদান করা হবে বলেও তিনি জানান।

Exit mobile version