চকরিয়ায় অগ্নিকাণ্ডে ৩টি বসতঘর পুড়ে ছাই : খোলা আকাশের নীচে মানবেতর জীবন

fec-image

কক্সবাজারের চকরিয়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তিনটি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে তিনটি পরিবারের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা। স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডে তিন বসতঘরে অন্তত বিশ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যায়।

বৃহস্পতিবার (১৯ মে) বেলা ২টার দিকে উপজেলার পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন মাইজপাড়া এলাকায় জহির আহমদ ও তার দুই ছেলে ইসমাইল এবং ইলিয়াসের বসতঘরে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে হঠাৎ আগুন লাগে। এসময় তিনটি বসতঘর একসাথে হওয়ায় মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে বাড়ি গুলো পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বসতঘরে থাকা লোকজন প্রাণে রক্ষা পেলেও তারা কোনো ধরণের জিনিসপত্র ওইসব বসতঘর থেকে বের করতে পারেনি। পরে স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এতে ওইসব পরিবারের প্রায় বিশ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার দাবি করেছেন। বর্তমানে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত তিন পরিবারের সদস্যরা খোলা আকাশের নীচে মানবেতর জীবন-যাপন করছে।

চকরিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে স্থানীয় এলাকার লোকজন জানিয়েছে। তবে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনো পর্যন্ত ধারণা করা সম্ভব নয়।

এদিকে, অগ্নিকাণ্ডে বসতঘর পুড়ে যাওয়ার খবর শুনে দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান ফারহানা আফরিন মুন্নাসহ স্থানীয় বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

চকরিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সংবাদটি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও গণমাধ্যমকর্মীরা আমাকে অবহিত করেন। ক্ষতিগ্রস্ত তিন পরিবারের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে শুকনো খাবার ও তাদের পরিবারের সদস্যদের পরিধানের জন্য বস্ত্র তুলে দেওয়া হয়।

তিনি আরো বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা তৈরি করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। জেলা প্রশাসনের অনুদান পাওয়ার সাথে সাথে তা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের কাছে প্রদান করা হবে বলে তিনি জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন