চকরিয়ায় অধিগ্রহণ ছাড়াই খতিয়ানি জমিতে বেড়িবাঁধ নির্মাণের চেষ্টা

fec-image

চকরিয়া পৌরসভার কোচপাড়া পয়েন্টে মাতামুহুরী নদীর পাড়ে সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা না করে এবং ভূমি অধিগ্রহণ না করেই সাধারণ মানুষের খতিয়ানভুক্ত ও চাষাবাদ উপযোগী জমিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড পাউবোর বিরুদ্ধে বেড়িবাঁধ ও স্থায়ীভাবে ব্লক নির্মাণ কাজের অভিযোগ উঠেছে। ফলে পৈত্রিক ও ওয়ারিশী জমি বেদখল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এলাকার নিরীহ মানুষজনের।

অথচ বিষয়টি নিয়ে জমির ৪জন ওয়ারীশদের পক্ষে গত ২৭ নভেম্বর পৌরসভার ভরামুহুরী এলাকার বাসিন্দা মৃত মৌলানা মো. সোলাইমানের পুত্র মো. এমরানুল হক পানি উন্নয়ন বোর্ডের কক্সবাজার নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের পরেও সংশ্লিষ্ট ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্টার লাইট সার্ভিসেস লি. ও মেসার্স অরুনা কর্পোরেশন অভিনব কায়দায় এসব নিরীহ লোকজনের পৈত্রিক সম্পত্তি জবর দখল করে, সমুহ স্থানে ব্লক নির্মাণসহ খতিয়ানী জমির উপর চৌহর্দ্দী এটে, লাল পতাকা টাঙ্গিয়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ চালানোর পাঁয়তারা করছে বলে জানান অভিযোগকারীরা।

স্থানীয়রা জানান, এ সব জমি অভিযোগকারীদের দালিলীকভাবেই পৈত্রিক সম্পত্তি। কিছু জমি মাতামুহুরী নদীগর্ভে বিলীন হলেও বাকি জমি চাষাবাদ উপযোগী এবং প্রতি মৌসুমে এসব জমিতে সবুজ শাক-সবজি উৎপাদন করে আসছেন ভুক্তভোগীর পরিবার। গত ২০১৭ সালে সমুহ নদীপাড়ে নির্দিষ্ট ছকে বেড়িবাঁধ ও ব্লক নির্মাণের কাজ শুরু করলেও সম্প্রতি সময়ে ভূমির অধিগ্রহণ না করে এবং খতিয়ানী জমির উপর পাউবোর অনিয়মের আদলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বেড়িবাঁধ ও স্থায়ী ব্লক নির্মাণের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

চকরিয়া পৌরসভার কোচপাড়া মৌজার আরএস খতিয়ান নং ১১৫ ও বিএস খতিয়ান নং-৯৯ বিএস দাগ নং-৪৮৭.৪৫০,৪৬২ ও ৪৫০ দাগাদীর আন্দর ভুক্তভোগীদের অন্তত এক কানি (১২০ কড়া) জমি পাউবোর কারণে বেদখল হওয়ার উপক্রম।

এ ব্যাপারে অভিযোগকারী এমরানুল হক বলেন, পাউবো বা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কোনরুপ ক্ষতিপূরণ না দিয়ে বেড়িবাঁধ ও ব্লক নির্মাণ কাজ পুনরায় চালানোর চেষ্টা করলে তিনি উচ্চ আদালতের আশ্রয় নেয়ার কথাও জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন