গাছ কেটে সাবাড়, পুকুরে বিষ প্রয়োগ, ২০ লাখ টাকার ক্ষতি

চকরিয়ায় আ.লীগ নেতার বাড়িতে ভাড়াটে দুর্বৃত্তদের হামলা

fec-image

কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার কমিশনারপাড়া গ্রামে এক আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে ফিল্মিস্টাইলে হামলার ঘটনা ঘটেছে। বাড়ি ভিটার জায়গা জবর দখলের অংশ হিসেবে প্রতিপক্ষের অস্ত্রধারী ভাড়াটে দুর্বৃত্তরা ওই বাড়িতে ব্যাপক তান্ডব চালিয়েছে।

এসময় হামলাকারিরা গৃহকর্তা ও তার পরিবার সদস্যদেরকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ ৭ লক্ষ টাকা, স্বর্ণালঙ্কারসহ দামি মালপত্র লুটে নিয়ে গেছে। হামলার সময় বাড়ি ভিটার একাধিক গাছ-পালা কেটে সাবাড় করে দিয়েছে। বিষ ঢেলে দিয়েছে একটি মৎস্য পুকুরে।

এ ঘটনায় পরিবারটির প্রায় ২০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী গৃহকর্তা ফরিদুল।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে ঘটেছে এ হামলা ও তান্ডবের ঘটনা।

আক্রান্ত পরিবারটির গৃহকর্তা ফরিদুল আলম চকরিয়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনারপাড়া গ্রামের মৃত নুরুল কবিবের ছেলে। তিনি স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।

ভুক্তভোগী ফরিদুল আলম সাংবাদিকদের জানান, তার বাড়িভিটা সংলগ্ন ৬০ শতক জমি নিয়ে প্রতিবেশি মোহাং জাকেরের পুত্রদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এনিয়ে কক্সবাজার জেলা জজ আদালতে রেকর্ড সংশোধনি মামলা চলমান রয়েছে।

কিন্তু ওই মামলায় হেরে যাবার ভয়ে রায়-ডিগ্রি হবার আগে বারবার আমার বাড়িভিটা দখলে হামলা চালিয়ে আসছে প্রতিপক্ষ।

আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদুল আলমের দাবি, বিষয়টির আলোকে দুইপক্ষের বিরোধ নিস্পত্তিতে স্থানীয়ভাবে একাধিক শালিস বৈঠকও হয়েছে। বৈঠকে কাগজপত্র ও স্বাক্ষ্যপ্রমাণে রায় আমার পক্ষে রয়েছে। তারপরও প্রতিপক্ষের লোকজন আদালত কিংবা স্থানীয় বিচার মানতে রাজি নন।

সর্বশেষ ওই ঘটনার জেরে শুক্রবার বেলা এগারটার দিকে প্রতিপক্ষ জাকের আহমদের ছেলে পুলিশ সদস্য সাইফুল ইসলামের নির্দেশে ১৫-২০ জনের ভাড়াটে দুর্বৃত্তরা আমার বাড়িতে অতর্কিত হামলা করে।

হামলার সময় অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা আমাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বাড়ীতে লুটপাট শুরু করে। তারা এসময় আমার টিনের বাড়িটি দা দিয়ে কুপিয়ে টুকরো টুকরো করে। বাড়িতে ঢুকে আলমিরা থেকে নগদ ৭ লক্ষ ১০ হাজার টাকা, ৩ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও একটি স্যামসাং মোবাইলসেট লুটে নেয়।

ঘটনা শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসার মুর্হুতে অস্ত্রধারীরা বাড়িভিটার বিপুল পরিমাণ রোপিত ফলজ ও বনজ গাছ কেটে সাবাড় করে দেয়। এমনকি একটি মৎস্য পুকুরেও বিষ ঢেলে দেয় তাঁরা।

এদিকে বসতবাড়িতে হামলা ও লুটপাটের এ ঘটনায় মামলা করতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান ভুক্তভোগী আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদুল আলম।

চকরিয়া থানার ওসি মো.হাবিবুর রহমান বলেছেন, হামলার ঘটনায় গত দুইদিনে থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনী প্রদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: আওয়ামী লীগ, চকরিয়া, চকুরয়
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন