parbattanews

চকরিয়ায় ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে গৃহবধুর আত্মহত্যা

প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভা এলাকায় বিভিন্ন এনজিও সংস্থা থেকে ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে তছলিমা বেগম (৩২) নামের তিন সন্তানের এক জননী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল থেকে নিহত গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেন।

সোমবার (২৯ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে চকরিয়া পৌরসভার ৫নম্বর ওয়ার্ডস্থ উত্তর কাহারিয়াঘোনা খোন্দকার পাড়া এলাকায় এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধু উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের বহদ্দারকাটা গ্রামের মোহাম্মদ সেলিমের স্ত্রী। তাদের সংসারে তিনটি সন্তান রয়েছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, পারিবারিক ভাবে স্বামী-স্ত্রী দুইজনই স্থানীয় ভাবে বিভিন্ন এনজিও সংস্থা থেকে ঋনের টাকা নিয়ে সংসার চলানোর পাশাপাশি বসতভিটার জন্য জমি ক্রয় করেন। ভ্যান চালিয়ে সংসারের জীবিকা নির্বাহ করেন তছলিমা বেগমের স্বামী সেলিম। তার স্বামীর বাড়ি বিএমচর ইউনিয়নের বহদ্দারকাটা গ্রামে। বিগত ৩ বছর পূর্বে স্ত্রীর পিতৃালয়ের পাশ্বোক্ত কাহারিয়া ঘোনায় সুদের ওপর টাকা ঋণ নিয়ে ঘর নির্মাণ করে। অভাব অনটনে তাদের সংসারে রয়েছে ২ ছেলে ও ১ কন্যা সন্তান। এনজিও থেকে ঋনের টাকা নেয়া প্রায় ২লাখের অধিক টাকায় সুদ এসেছে অনেক গুণ। সম্প্রতি কিস্তিতে নেয়া স্বামীর চালিত ট্রলি গাড়ীটি আটকে রাখেন স্থানীয় সুদি মহাজনরা। অভাবের সংসারে একদিকে স্ত্রীর ওপর স্বামীর অমানবিক নির্যাতন, অন্যদিকে স্বামীর নেয়া ঋণের সুদের টাকার জন্য প্রতিদিন স্ত্রী তছলিমার উপর সুদি মহাজনদের মানসিক চাপ। মহাজনদের নানা বিড়ম্বনা ও তাদের মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে ৩ সন্তানের জননী গৃহবধু সেলিনা আক্তার নিজ বাড়ির সিলিংয়ের সাথে গলায় ওড়না প্যাঁচিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের অগোচরে আত্মহত্যা করেন। ঘটনার সংবাদ পেয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) মোশারফ হোসেনেরে নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে রাত ১টার দিকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে সুরুতহাল প্রতিবেদন তৈরী করেন।

চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, এক গৃহবধু আত্মহত্যা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ নিহত গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। তবে ঘটনার বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে।

Exit mobile version