parbattanews

চকরিয়ায় করোনা বিস্তার রোধে বিপনি-বিতানে ইউএনও’র শুদ্ধি অভিযান

কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরশহরের বিভিন্ন বিপনী বিতান প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী প্রতিদিন সেহেরীর পরে ভোর সাড়ে ৪টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত দোকান খুলে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসলে তাৎক্ষণিক শুদ্ধি অভিযানে নামে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ সামসুল তাবরীজ।

এ সময় ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট স্বর্ণের দোকান, শাড়ির দোকান, রড-সিমেন্টের দোকানসহ বিভিন্ন দোকানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে সরকারি নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ১৭টি মামলায় অসাধু ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৫’শ টাকা জরিমানা আদায় করেন। এছাড়াও  তিনজন ব্যক্তিকে আটক করেছে ভ্রাম্যমান আদালত

বৃহস্পতিবার (১৪মে) ভোর সাড়ে ৪টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত চকরিয়া পৌরশহরের বিভিন্ন বিপনী বিতানে এ অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ সামসুল তাবরীজ।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ সামসুল তাবরীজ বলেন, কোথায় কি হচ্ছে, কারা কি করেন সবধরনের খবর আমাদের নজরে রয়েছে। এ লকডাউনে ব্যবসায়ীরা মনে করেছিলো প্রশাসনকে  ফাঁকি দিয়ে তারা ব্যবসা চালিয়ে যাবে। কিন্ত সেটা আমরা হতে দেবনা। কোন অবস্থাতেই দোকান খোলা চলবেনা। যারা এই নির্দেশ অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে আরও কঠোর হবে প্রশাসন। এখন জরিমানা করা হলেও পরে জেল দেয়া হবে।

তিনি আরো বলেন, চকরিয়ায় বর্তমানে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনা বিস্তার রোধ করতে গিয়ে আমার এসিল্যান্ড করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এরই মাঝে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী লোভে পড়ে ব্যবসা করে যাচ্ছিল। বৃহস্পতিবার ভোরে সরকারি নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ১৭টি মামলায় অসাধু ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৫’শ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। প্রতিদিন ভোর থেকে রাত পর্যন্ত প্রশাসনের চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।

Exit mobile version