চকরিয়ায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ইউপি সদস্যসহ ৩ ডাকাত গ্রেফতার : অস্ত্র উদ্ধার

fec-image

কক্সবাজারের চকরিয়ায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে প্রকাশ্যে দিবালোকে জনতার সহায়তায় জনপ্রতিনিধিসহ তিন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতদের মধ্যে ১৬টি মামলার ফেরারি আসামি সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাহেদুল ইসলাম সিকদারকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এসময় স্থানীয় জনতা ডাকাতদের কাছ থেকে দেশি একটি শটগান বন্দুক উদ্ধার করেন। পরে ধৃত তিন ডাকাতকে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। তৎমধ্যে ধৃত ইউপি সদস্য জাহেদুল ইসলামকে জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। চকরিয়া থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

শনিবার (১১সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ছায়রাখালী এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃত ডাকাতরা হলেন, চিরিংগা ইউনিয়নের চরণদ্বীপ এলাকার নুরুল আলমের ছেলে মো. ইমরান (২৬), সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের উত্তর মানিকপুর এলাকার মৃত মনুর আলম সিকদার ছেলে ও ইউপি সদস্য জাহেদুল ইসলাম (৪০) ও চিরিংগা ইউনিয়নের বুড়িপুকুর এলাকার মোজাহের আহমদের ছেলে আবদুস ছবুর (৩৬)।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ছায়রাখালী এলাকায় প্রকাশ্যে দিবালোকে সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের জাহেদ মেম্বারের নেতৃত্বে অস্ত্রনিয়ে বেশ কয়েকজন ডাকাত ওই এলাকায় মহড়া দিলে স্থানীয় লোকজনের কাছে দৃষ্টিগোচর হয়। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী জড়ো হয়ে ওই ডাকাতদের গতিরোধ করে ধাওয়া করলে তিন ডাকাতকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করতে সক্ষম হয়। এসময় জনতার গণপিটুনিতে জাহেদ মেম্বার গুরুতর আহত হয়। আটক ডাকাতদের কাছ থেকে দেশীয় তৈরি একটি এলজি (শর্টগান) বন্দুক উদ্ধার করা হয়।

মানিকপুর এলাকার বাসিন্দারা জানায়, জাহেদ মেম্বার নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সুরাজপুর-মানিকপুর এলাকায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী কায়দায় বনবিভাগের জায়গা জবর-দখলসহ নানা ধরণের অপকর্ম করে আসছে। সম্প্রতি সময়ে এলাকায় কয়েকটি অপরাধমূলক ঘটনা করলেও তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেয়ার পরও নেয়া হয়নি কোন ধরণের মামলা। এতে ভুক্তভোগীরা চরম হতশায় ভুগছেন বলে ভুক্তভোগীরা দাবি করেছেন। গ্রেপ্তারকৃত জাহেদ মেম্বারের বিরুদ্ধে নানা অপরাধের ঘটনায় থানা ও আদালতে ১৬টির অধিক মামলা রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানায়।

চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সকাল ১০টার দিকে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ছায়রাখালী এলাকায় জাহেদ মেম্বারের নেতৃত্বে অস্ত্রধারী একদল ডাকাত ডাকাতির উদ্দ্যেশ্য ঘটনাস্থলে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়। এসময় স্থানীয় জনতা এগিয়ে এসে অস্ত্রধারী ডাকাতদের দাওয়া করে তিন ডাকাততে আটক করে গণপিটুনি দেন। পরে থানা পুলিশকে খবর দেয়া হলে তাৎক্ষনিক ভাবে থানার তদন্ত কর্মকর্তা জুয়েল আহমদের নেতৃত্বে সঙ্গীয় পুলিশ নিয়ে একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌছলে ধৃত তিন ডাকাতকে অস্ত্রসহ সোপর্দ করে স্থানীয় জনতা।

তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপারে অস্ত্র ও ডাকাতির প্রস্তুতির ঘটনায় পৃথক দুটি মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলেও তিনি জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন