parbattanews

চকরিয়ায় ডাম্পারের ধাক্কায় গার্মেন্টস কর্মীসহ নিহত ২, আহত ৩

চকরিয়ায় উপজেলার অভ্যান্তরীণ চিরিঙ্গা-বদরখালী-মহেশখালী (কেবি জালাল উদ্দিন) সড়কে ডাম্পার গাড়ির ধাক্কায় যাত্রীবাহি সিএনজি’র দুইজন যাত্রী নিহত হয়েছে। এছাড়াও সিএনজি চালকসহ আরও ৩জন আহত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করেছে।

রোববার (২৭ জুন) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়নস্থ দরবেশকাটা স্টেশনের অদূরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন, মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর পুটিবিলা এলাকার বাসিন্দা মৃত বাবুল চন্দ্র দে’র স্ত্রী চট্টগ্রামের গার্মেন্টসকর্মী নিলু দে (৪৬), অপরজন একই ইউনিয়নের জেমঘাট এলাকার আবুল কালামের ছেলে হাফেজ আবদুল কুদ্দুছ (৩৪)।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, চিরিঙ্গা স্টেশন থেকে ছেড়ে আসা একটি যাত্রীবাহি সিএনজি দরবেশকাটা স্টেশন এলাকা এসে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে দ্রুত গতিতে আসা ডাম্পার গাড়ি সিএনজিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে সিএনজি’র দুই যাত্রী ঘটনাস্থলে নিহত হয়। এসময় সিএনজি গাড়িতে থাকা চালকসহ অন্যান্য যাত্রীরাও কমবেশী আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে চকরিয়া থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি জব্দ করে।

নিহত নিলুর ছোটভাই শ্যামল দে বলেন, লকডাউন শুরুর আগে চট্টগ্রাম থেকে বাড়ি ফিরছিলেন গার্মেন্টসকর্মী নিলু দে। পথিমধ্যে দুর্ঘটনায় তিনি নিহত হন। দুর্ঘটনায় নিহত হওয়া নিলু’র কোন স্বামী-সন্তান নেই বলেও তিনি জানায়।

ঘটনাস্থলে যাওয়া চকরিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনজুরুল কবির জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক সুরুতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে আইনগত প্রক্রিয়া শেষে নিহতদের মরদেহ তাদের পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

Exit mobile version