parbattanews

চকরিয়ায় তিনশ বছরের প্রাচীন শ্মশানের জায়গা দখলের অভিযোগ

কক্সবাজারের চকরিয়ায় তিনশত বছরের পুরাতন বাটাখালী সার্বজনীন মহাশ্মশানের জায়গা-জবরদখল করে ও শ্মশানের জায়গার উপর দিয়ে ময়লা-আবর্জনাযুক্ত পানি চলাচল করার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে জড়িত ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে আরও ৩/৪ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চকরিয়া পৌরসভা ৪ নম্বর ওয়ার্ডস্থ তিনশত বছরের পুরানো বাটাখালী সার্বজনীন শ্মশানের ভোগদখলীয় জায়গায় স্থানীয় সুশীল পাড়া এলাকার হারাধন দাশের ছেলে স্বপন দাশ প্রায় ৬ ফুট জায়গা জোরপূর্বক ভাবে দখলে নেয়।

দখলীয় শ্মশানের ওই জায়গার উপর দিয়ে শ্মশান সংলগ্ন পাঁচতলা বিশিষ্ঠ বিল্ডিংয়ের মালিক কৃষ্ণ ধর হইতে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে স্বপন দাশ ওই বিল্ডিংয়ের পায়খানা-পস্রাব ও ময়লা-আবর্জনাযুক্ত পানি শ্মশানের উপর দিয়ে চলাচল করার জন্য অনুমতি দেয়।

শ্মশানের পবিত্রতা নষ্ট করায় শ্মশান কমিটির লোকজন ও স্থানীয়রা ঘটনার বিষয় নিয়ে গত ১০ জুন অভিযুক্ত বিবাদীর সাথে বৈঠক করেন। বৈঠকে শ্মশানের জায়গা ছেড়ে দিতে ও ময়লা-আবর্জনার চলাচল পানি বন্ধ করতে তাগাদা দিলে অভিযুক্ত স্বপন দাশ উল্টো এলাকাবাসীকে অপমান-অপদস্ত করে নানা ধরণের হুমকি দেয়।

এ নিয়ে স্থানীয় মৃত কৃষ্ট কুমার সুশীলের ছেলে বাদল কান্তি সুশীল বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে থানায় অভিযোগ দায়ের করে।

অভিযোগকারী বাদল কান্তি সুশীল সাংবাদিকদের বলেন, বাটাখালী সার্বজনীন মহাশ্মশান জায়গাটি তাদের পিতামহগণ সিএস, আরএস ও এম আর আর মূলে নিজ মালিকানাধীন ভূমি শ্মশানের নামে হস্তান্তর করেন। দীর্ঘ তিনশত বছরের প্রাচীন এ শ্মশানের জায়গায় অনাধিকার ভাবে জোরপূর্বক প্রায় ৬ ফুট জায়গা জবর-দখলে নিয়ে ওই জায়গার উপর দিয়ে হারাধনের ছেলে স্বপন দাশ ধর্মীয় বোধের অবমাননা ও অপবিত্র করে পায়খানা-পস্রাব, ময়লা-আবর্জনা পানি চলাচল করায় ধর্মীয় ভাবে আঘাত করে যাচ্ছে। এ ঘটনায় তিনি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

বাটাখালী সার্বজনীন শ্মশান ও মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুধাশু সুশীল বলেন, কেউ যদি জোরপূর্বক শ্মশানের জায়গা দখলে নিয়ে থাকে তাহলে ওই জায়গা উদ্ধারে শ্মাশান কমিটির পক্ষ থেকে জরুরী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, শ্মশানের বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে। বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করার জন্য থানার উপপরিদর্শক (এস আই) জাকির হোসেনকে দায়িত্ব দেয়া হয়। ঘটনার সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।

Exit mobile version