parbattanews

চকরিয়ায় দুই কিশোরকে আটকে জোরপুর্বক বিয়ে: আতঙ্কে পরিবার, আদালতে জিডি

চকরিয়া উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নে অপ্রাপ্ত বয়সের দুই কিশোরকে জোরপুর্বক বিয়ে পড়িয়ে দেয়ার অপচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দুই কিশোরের পরিবার আশঙ্কার কথা জানিয়ে চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সাধারণ ডায়েরী ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

আদালতে সাধারণ ডায়েরীতে বিএমচর ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের পুর্ব পাহাড়িয়াপাড়া (বেড়াপাড়া) গ্রামের জামাল উদ্দিনের স্ত্রী মেহেরা আক্তার দাবি করেছেন, তাঁর ছেলে মোহাম্মদ মোছাদ্দেক জন্ম তারিখ ২০০১ সালের ৮ মে। আঠার বছর বয়সের কিশোর ছেলেকে প্রতিবেশি হেলাল উদ্দিনের ১২বছর বছর বয়সের মেয়ের সঙ্গে এফিডেভিটমুলে জোরপুর্বক বিয়ে দেয়ার জন্য প্রতিপক্ষের লোকজন নানাভাবে অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।

বাদি মেহেরা আক্তার জানান, একই গ্রামে বাড়ি হবার সুবাদে প্রতিপক্ষের লোকজন প্রেমঘটিত ঘটনা দেখিয়ে তাঁর কিশোর ছেলেকে আটকে বিয়ে দেয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। এমনকি এতে ব্যর্থ হলে প্রতিপক্ষের লোকজন ওই মেয়েকে অন্যত্র সরিয়ে রেখে অপহরণ ও নারী নির্যাতন মামলা করার হুমকি দিচ্ছেন। এ অবস্থায় নিরুপায় হয়ে গত ১৬ সেপ্টেম্বর উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সাধারণ ডায়েরী ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে অভিযোগ করেছেন বাদি মেহেরা আক্তার।

অনুরূপ অপর একটি ঘটনায় গত ১৫ সেপ্টেম্বর চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সাধারণ ডায়েরী ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন বিএমচর ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের পুর্ব পাহাড়িয়াপাড়া (বেড়াপাড়া) গ্রামের সিরাজ মিয়ার স্ত্রী রেজিয়া বেগম।

সাধারণ ডায়েরীতে তিনি জানান, তাঁর ছেলে নজরুল ইসলাম পুতুর জন্ম তারিখ ২০০৩ সালে ১ অক্টোবর। বর্তমান বয়স ১৬ বছর। একই গ্রামে বাড়ি হবার সুবাদে প্রতিবেশি মৃত মোস্তাক আহমদের ছেলে মো. কামাল উদ্দিন প্রেমঘটিত ঘটনা দেখিয়ে তাঁর তের বছর বয়সের মেয়ের সঙ্গে কিশোর নজরুল ইসলাম পুতুকে আটকে জোরপুর্বক বিয়ে দেয়ার জন্য অপচেষ্টা চালিয়ে আসছেন।

বিয়ে দিতে ব্যর্থ হলে প্রতিপক্ষের লোকজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক ওই মেয়েকে অন্যত্র সরিয়ে রেখে অপহরণ ও নারী নির্যাতন মামলা করার হুমকি দিচ্ছেন। এ অবস্থায় নিরুপায় হয়ে চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সাধারণ ডায়েরী ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন বাদি রেজিয়া বেগম। ঘটনাটির বিষয়ে ভুক্তভোগী দুইটি পরিবার জোরপুর্বক বিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা থেকে কিশোর ছেলেদের রক্ষা করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Exit mobile version