চকরিয়ায় পৃথক অভিযানে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা

কক্সবাজারের চকরিয়ায় উপজেলা প্রশাসন ও র্যাব-১৫’র নেতৃত্বে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাহাত উজ জামানের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করেন।
এ সময র্যাব-১৫ কক্সবাজারের একটি অভিযানিক দলও ভ্রাম্যমান আদালতের সাথে ছিলেন। এছাড়াও অভিযানে ছিলেন উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর আরিফুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন ও পৌরশহরে এ অভিযান চালানো হয়।
র্যাব-১৫ কক্সবাজারের কোম্পানী সহকারী পরিচালক লে.কমান্ডার মাহাবুবুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে ভেজাল ঘি, ভেজাল চা-পাতাসহ নানা ধরনের খাদ্যপণ্য সামগ্রী তৈরী করে আসছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৫ এর একটি অভিযানিক দল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাহাত উজ জামানকে সাথে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে ভেজাল ঘি, ভেজাল চা-পাতাসহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। পরে ভেজাল খাদ্য সামগ্রী তৈরী করার অপরাধে ২ লাখ টাকা জরিমানা এবং খাদ্য সামগ্রীগুলো বিনষ্ট করা হয়।
পরে চকরিয়া পৌরশহরের বেশ কয়েকটি আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কার্যকালাপের অভিযোগে অভিযান চালানো হয়। এসময় অসামাজিক কার্যকালাপ এবং লাইসেন্স না থাকায় ৪টি আবাসিক হোটেলকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়াও ওশান সিলভার নামের একটি আবাসিক হোটেল সিলগালা করে দেয়া হয়।
ভ্রাম্যমান আদালতে নেতৃত্বে দেয়া চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: রাহাত উজ জামান এ প্রতিবেদককে বলেন, ভেজাল খাদ্য সামগ্রী তৈরী এবং আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কার্যকালাপের অভিযোগে অভিযান চালানো হয়। ভেজাল খাদ্য সামগ্রী তৈরীর অপরাধে ২ লাখ টাকা জরিমানা ও হোটেলে অসামাজিক কার্যকালাপ এবং লাইসেন্স না থাকায় চার হোটেলকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়াও আরেকটি আবাসিক হোটেলকে সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। প্রশাসনের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।