চকরিয়ায় বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে বন্যার কারণে এবার আশানুরূপ দর্শনার্থীর ভিড় নেই
চকরিয়া প্রতিনিধি:
বন্যার প্রভাব পড়েছে চকরিয়ার ডুলাহাজারাস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে। অন্যান্য বছরে যেখানে তিনদিনে লক্ষাধিক পর্যটক ও দর্শনার্থীদের সমাগম হতো সেখানে একেবারে নগন্য দর্শনার্থীতে হতাশ পার্ক কর্তৃপক্ষ ও গেইট ইজারাদার।
ঈদের কয়েকদিন আগে থেকে লাগাতার ভারী বর্ষন এবং মাতামুহুরী নদীতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে উপজেলার ১৮ ইউনিয়ন ও পৌরসভার সিংহভাগ এলাকা তলিয়ে গেলেও ঈদের দিন বৃষ্টিপাত না হওয়ায় অনেকটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে ঈদ আনন্দে মাতোয়ারা থাকা সব বয়সের মানুষ।
এতে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে ঈদের দিন থেকেই সামান্য দর্শনার্থী ভিড় করতে থাকে। এতে এবারের ঈদে বন্যার প্রভাব পড়ায় অন্যান্য বছরের চাইতে কম দর্শনার্থীর ভিড় ছিল পার্কে।
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের গেইট ইজারাদার মো. নাছির উদ্দিন জানান, ঈদের কয়েকদিন আগে থেকে লাগাতার ভারী বর্ষন ও মাতামুহুরী নদীতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে উপজেলার সিংহভাগ ইউনিয়ন তলিয়ে যায়। যার প্রভাব পড়ে সাফারি পার্কে। গত তিনদিনে অন্যান্য বছর যেখানে অর্ধ লক্ষাধিক দর্শনার্থীর সমাগম হতো সেখানে এবারের ঈদে প্রথম দিন ৬ হাজার, দ্বিতীয় দিন ৮ হাজার ও গতকাল শনিবার মাত্র সাড়ে ৪ হাজার দর্শনার্থীর পা পড়ে পার্কে।’
সরজমিন দেখা গেছে, একটানা ছুটিতে ঈদের দিন বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই পর্যটক ও দর্শনার্থীর আগমণ ঘটতে শুরু করে। এরই মাঝে হালকা বৃষ্টিপাতের সঙ্গে ভ্যাপসা গরমের ফাঁকে পার্কের গগণচুম্বি গর্জন গাছের ছায়াতলেই বেশি সময় কাটিয়েছেন আগতরা। বেশিরভাগ দর্শনার্থী পাখি, হরিণ, ভল্লুক, কুমির, জলহস্তি, ওয়াইল্ডবিষ্ট, বাঘ ও সিংহ বেষ্টনীর প্রাণীগুলো দেখেছে।
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের কর্মকর্তা মো. মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ঈদের আগে থেকে যেভাবে ভারী বর্ষন শুরু হয়েছিল, এতে মনে করেছিলাম এবারের ঈদে দর্শনার্থীর সংখ্যা একেবারে কমে যাবে। তবে ঈদের দিন বৃষ্টিপাত না হওয়ায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক না হলেও দর্শনার্থীদের আগমণ ঘটে।
সাফারি পার্কের তত্ত্বাবধায়ক (রেঞ্জার) মো. নুরুল হুদা বলেন, ‘আগে থেকেই ব্যাপক প্রস্তুতি এবং পুরো পার্ককে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছিল। জোরদার করা হয়েছিল নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কিন্তু ঈদের মাত্র তিনদিন আগে থেকে লাগাতার ভারী বর্ষণ পরবর্তী বন্যার কারণে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে দর্শনার্থী আগমণে। সবমিলিয়ে আশানুরূপ দর্শনার্থীর আগমণ ঘটেনি পার্কে।’