parbattanews

চকরিয়ায় বন্যার পানিতে হুমকির মুখে খাদ্য গুদামের ৪০ কোটি টাকার ধান-চাল

পাহাড়ি ঢলের পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে উপজেলার চিরিঙ্গা খাদ্য গুদাম

চকরিয়ায় অব্যাহত ভারি বর্ষণ ও মাতামুহুরী নদীতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে উপজেলার চিরিঙ্গা খাদ্য গুদাম। গত চারদিন ধরে খাদ্য গুদামের ভেতরে কোথাও হাঁটু সমান, কোথাও গলা সমান ঢলের পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এ অবস্থার কারণে যে কোন মুহূর্তে চারটি গুদামে মজুদ রক্ষিত সরকারি ৪০ কোটি টাকার ধান চাল পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে গুদামের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে উদ্বেগ আতঙ্ক বিরাজ করছে।

চিরিঙ্গা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আবদুল হাই বলেন, সরকারি সিদ্বান্তের আলোকে গত জুন মাস থেকে শুরু হওয়া ধান চাল সংগ্রহ কর্মসুচির আওতায় ইতোমধ্যে চকরিয়া উপজেলায় প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে এক হাজার ৪৮২ মেট্রিক টন এবং পেকুয়া উপজেলায় প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫৬২ মেট্রিক টনসহ মোট ২ হাজার ৪৪ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ চলছে। দুই উপজেলা থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত সংগ্রহ হয়েছে মোট ৮৭০ মেট্রিক টন ধান। পাশাপাশি চালকল (রাইচমিল) মালিকদের মাধ্যমে সংগ্রহ অভিযান চলছে চালের।

তিনি বলেন, সংগ্রহ করা ধান ও চাল সমুহ চারটি গুদামে মজুদ করা হয়েছে। এরমধ্যে বিপুল পরিমাণ ধান চুক্তিবদ্ধকৃত রাইচমিলে জরুরী ভিত্তিতে রাইচজাত (ছাটাই) করার জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে। অবশিষ্ট ধান নতুন নির্মিত ১ নম্বর গুদামে রাখা হচ্ছে। বর্তমানে চিরিঙ্গা খাদ্য গুদামে সংগ্রহ অভিযানের ৫০০ মেট্রিক টন ধান ও ৭৩৫ মেট্রিক টন চাল মজুদ রয়েছে। সরকারি হিসাবে মজুদ এসব ধান ও চালের মুল্য প্রায় ৪০ কোটি টাকা।

খাদ্য গুদামের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, এক সপ্তাহ আগে চকরিয়ায় ভারি বর্ষণ শুরু হলে পাশাপাশি মাতামুহুরী নদীতে উজান থেকে নামে পাহাড়ি ঢলের পানি। তবে গত তিনদিনে ঢলের পানি রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছে। এ অবস্থার কারণে বানের পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে চিরিঙ্গা খাদ্য গুদাম। বর্তমানে খাদ্য গুদামের করিডোরে কোথাও হাঁটু সমান, কোথাও গলা সমান ঢলের পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এ অবস্থার কারণে যে কোন মুহূর্তে চারটি গুদামে মজুদ রক্ষিত সরকারি ৪০ কোটি টাকার ধান চাল পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

খাদ্য গুদামের ওসি আবদুল হাই বলেন, বানের পানির তান্ডব থেকে সরকারি সম্পদ রক্ষায় আমাদের পক্ষথেকে সবধরণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা বেশি ঝুঁকিপুর্ণ গুদাম থেকে মজুদ ধান ও চাল সরিয়ে নিয়ে নতুন গুদামে মজুদ করেছি। তারপরও ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকলে যে কোন মুর্হুতে আমাদেরকে চরম ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। বিষয়টি ইতোমধ্যে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা খাদ্য কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।

Exit mobile version