করোনা ভাইরাসের সংক্রমন প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি পবিত্র মাহে রমজান মাসে বাজারের দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে বাজার মনিটরিংয়ের জন্য মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় বাজার মনিটরিং সংক্রান্ত তিনটি মামলায় তের হাজার, সরকারি নির্দেশ অমান্য করে দুটি খাবার হোটেলে ইফতার সামগ্রী বিক্রি করার দায়ে দুইটি মামলায় ছয় হাজার টাকা এবং একটি স’মিল খোলা রেখে কাজ করার জন্য ও জনসমাগম ভীড় থাকায় দশ হাজার টাকাসহ মোট ৬টি মামলায় ২৯ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
ওই সময় ম্যাজিস্ট্রেট জনগণকে সচেতন করার পাশাপাশি বিভিন্ন অপরাধে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে এ অর্থদণ্ড প্রদান করছে।
শনিবার (২৬এপ্রিল) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তানভীর হোসেন অভিযান পরিচালনা করে এ অর্থদণ্ড প্রদান করেন।
অভিযানের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তানভীর হোসেন বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রাদুর্ভাব থেকে আত্মরক্ষার্থে উপজেলার প্রত্যেকটি এলাকায় জনসচেতনতা বৃদ্ধি, সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা, নিত্যপণ্যের বাজার মনিটরিং কার্যক্রম এবং পবিত্র রমজান মাসে বাজারের দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে বিভিন্ন বাজার এলাকায় দোকানের মূল্য তালিকা নির্ধারণে মনিটরিংয়ের জন্য মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় বেশ কয়েকটি দোকানে মূল্য তালিকা না টাঙ্গানোর দায়ে, খাবার হোটেল খোলা রাখার দায়ে ও বাজারের পণ্য মূল্য স্থিতিশীল রাখতে দোকানদারকে সতর্ক করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে সরকারের নির্দেশ না মেনে চলার দায়, সামাজিক দুরত্ব বজায় না রাখা, নিয়মের বাহিরে কাজ করার অপরাধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এসময় সরকারি নির্দেশনা অমান্য করায় একটি স’মিল খোলা রেখে কাজ করায় জনসমাগম ভীড় থাকার দায়ে ও বিভিন্ন অপরাধে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ৬টি মামলায় ২৯হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। প্রশাসনের চলমান এ অভিযান মাঠ পর্যায়ে অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।