করোনাভাইরাস সংক্রমণ বিস্তার প্রতিরোধকল্পে সারা দেশের ন্যায় চকরিয়া উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক নিরলসভাবে দিবারাত্রি কাজ করে যাচ্ছেন উপজেলা প্রশাসন। মাঠ পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নূরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমানের সার্বিক তত্বাবধানে নিত্যদিন চলছে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রাদুর্ভাব থেকে আত্মরক্ষার্থে ঘরে থাকার কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন সরকার। কক্সবাজার জেলাকে সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এরই মধ্যে সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে লকডাউন না মেনে বিভিন্ন এলাকায় দোকান খোলা রাখা, অহেতুক বাইরে ঘুরাফেরা করা, অপ্রয়োজনীয় জমায়েত এবং দোকানপাঠ ও রাস্তায় বসে আড্ডা দিতে দেখলেই তা প্রশাসন ছত্রভঙ্গ করে দেন।
জেলার প্রবেশপথ আজিজনগর এ চেকপোস্টের তল্লাশী কার্যক্রম মনিটরিং করাকালে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে আসা ৫০টি গাড়ির চালক ও দোকান খোলা রাখার দায়ে ১৬ দোকানদারকে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জরিমানা প্রদান করেছে৷
শনিবার(১৮ এপ্রিল) দিবাগত রাতে জেলার প্রবেশদ্বার উত্তর হারবাং আজিজনগর এলাকায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.তানভীর হোসেন অভিযান পরিচালনা করে এ জরিমানা প্রদান করেন।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তানভীর হোসেন বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রাদুর্ভাব থেকে আত্মরক্ষার্থে উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়নের স্টেশন, বাজার ও চেকপোস্ট এলাকায় জনসচেতনতা বৃদ্ধি, নিত্যপণ্যের বাজার মনিটরিং কার্যক্রম এবং দোকানপাঠ, বাজার ও খেলার মাঠ, রাস্তায় বসে জনসমাগম না করার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল শ্রেণী পেশার মানুষজনকে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছিল। তাছাড়া প্রয়োজন ছাড়া সকলকে ঘরের বাইরে বের না হতে মাইকিং করেও নির্দেশনা দেয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারের নির্দেশ না মেনে চলার দায়, সামাজিক দুরত্ব বজায় না রাখা, নিয়মের বাহিরে কাজ করার অপরাধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
এসময় সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে আসা ৫০টি গাড়ির চালক ও সন্ধ্যা ৬ টার পর থেকে দোকান খোলা রাখায় ১৬ জন দোকানদারকে জরিমানা করা হয়েছে বলে তিনি জানান।