parbattanews

 চকরিয়ায় যুবলীগের সভায় সন্ত্রাসী হামলায় সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা

চকরিয়া প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের বর্ধিত সভায় সন্ত্রাসীর হামলায় পণ্ড হয়ে যায় সভা। এ সময় ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে সন্ত্রাসীরা উপর্যপুরি ৫-৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলে রবিউল আলম (২৭) নামের কোনাখালী ইউনিয়ন যুবলীগের এক নেতাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত ও বেধড়ক পেটালে তিনি গুরুতর আহত হন। তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় আহত রবিউলের মামাতো ভাই মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে সাত জনের নাম উল্লেখ এবং আরও ১২ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে শনিবার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এর আগে শুক্রবার বিকেলে ঢেমুশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে হেতালিয়া পাড়া রাস্তার মাথায় এ ঘটনা ঘটে।

নাম উল্লেখ করা অভিযুক্তরা হলেন মো. সেলিম, রুহুল আমিন, মো. ইলিয়াছ, মো. আজম উদ্দিন আজু, মো. হায়দার আলী, মো. ছালাউদ্দিন, মো. মোজাম্মেল।।

অভিযোগে জানা গেছে, সম্প্রতি টমটম চালকদের মধ্যে অপ্রীতিকর একটি ঘটনা ঘটলে মিনার উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি বিষয়টি উভয়পক্ষকে নিয়ে মিমাংসা করে দেন। এনিয়ে মিনারের উপর ক্ষিপ্ত হন সেলিম ও আজু।

এর জের ধরে বুধবার মিনারের সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদে জড়ান তারা। ওই ঝগড়ার বিষয়ে শুক্রবার ঢেমুশিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিসে বৈঠক হয় উভয় পক্ষের। কিন্তু অভিযুক্ত সেলিম ওই বৈঠকের সিদ্ধান্ত মানবে না জানিয়ে উচ্ছৃঙ্খল আচরণসহ হুঙ্কার ছাড়েন।

এরই অংশ হিসেবে ওইদিন ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের বর্ধিত সভায় হামলা চালায়। এতে পণ্ড হয়ে যায় বর্ধিত সভা। এ সময় রবিউল বাধা দিলে তাকে ছুরিকাঘাত ও বেধড়ক পেটায় সন্ত্রাসীরা।

এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামরুল আজম বলেন, হামলার ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, সেটি মামলা হিসেবে রুজু করা হচ্ছে।

Exit mobile version