কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নে শ্বশুরবাড়ি থেকে রোকসানা আক্তার (২৩) নামের এক গৃহবধূ নিখোঁজ হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ৭ ডিসেম্বর রোকসানা নিখোঁজ হলেও স্বামী ও শ্বশুড়বাড়ির লোকজন গত ১৭দিনে তাঁর কোন হদিস দিতে পারছেনা। এ অবস্থায় ঘটনার বিষয়ে অনেকটা নিরূপায় হয়ে গৃহবধুর মা খালেদা বেগম বাদি হয়ে মঙ্গলবার চকরিয়া থানায় দুইজনকে আসামি করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের খালকাছা পাড়া এলাকার মৃত আলী নেছার মেয়ে রোকসানা আক্তারের সঙ্গে একই উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড রিংভং ছগিরশাহকাটা এলাকার মৃত আবু আহামদে ছেলে নুর কাশেমের মধ্যে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। এই সুবাদে তাঁরা ২০১৯ সালের ১৯ এপ্রিল কক্সবাজার নোটারী পাবলিকের কার্যলয়ে উপস্থিত হয়ে এভিডেভিড মুলে ৫ লক্ষ টাকা দেনমোহরে বিবাহ করেন। বিয়েতে মেয়ের পরিবার প্রায় দুই লক্ষ টাকা খরচ করেন। বিয়ের থেকে স্বামীর বাড়িতে সুখে সংসার জীবনের সুবাদে তাদের সংসারে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়।
রোকসানার মা খালেদা বেগম দাবি করেছেন, বিয়ের সময় দুই লাখ টাকা খরচ করে শ্বশুড়বাড়ির চাহিদা মেটানো হলেও স্বামী নুর কাশেম বিভিন্ন সময় আমার বাড়ি (শ্বশুরবাড়ি) থেকে আরো দুই লক্ষ টাকা যৌতুক এনে দেয়ার জন্য স্ত্রীকে (রোকসানা) শারীরিক মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছে। এরই জেরধরে সর্বশেষ গত ৭ ডিসেম্বর বেলা আনুমানিক ১১টার দিকে শ্বশুর বাড়ীতে কন্যা সন্তানটি রেখে রোকসানা কোথাও চলে গেছে।
খালেদা বেগম দাবি করেন, ঘটনার পর থেকে আমি মেয়ের শ্বশুর বাড়ী গিয়ে খবরাখবর নিয়ে অদ্যাবধি তাঁর কোন সন্ধান পাইনি। এমনকি স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনও কোন ধরণের উত্তর দিচ্ছেনা। তিনি ধারণা করছেন, যৌতুকের জন্য নির্যাতনের ফলে অতিষ্ঠ হয়ে তাঁর মেয়ে অন্যত্র চলে গেছে। নতুবা তাকে গুম করে ফেলা হয়েছে।
এ অবস্থায় মেয়েকে উদ্ধারে আবেদন জানিয়ে খালেদা বেগম বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। এতে মেয়ের স্বামী নুর কাশেম ও স্বামীর পরিবারের রুহুল কাদেরের স্ত্রী মুন্নি বেগমকে বিবাদী করেছেন।
চকরিয়া থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান বলেন, গৃহবধু রোকসানা নিখোঁজ সংক্রান্ত তাঁর মায়ের দায়েরকৃত অভিযোগটি তদন্তের জন্য থানার এসআই তুষ্টলাল বিশ্বাসকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্তের পাশাপাশি ভিকটিমকে উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।