parbattanews

চকরিয়ায় ১০ টাকা মূল্যের চাল আত্মসাতের অভিযোগ ডিলারের বিরুদ্ধে

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের সরকারীভাবে বরাদ্দকৃত ১০টাকা মুল্যের চাল আত্মসাৎ ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ডিলার আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল করিম সেলিমের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বরাদ্দকৃত চাল না পাওয়া ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে অর্ধশতাধিক নারী-পুরুষ বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।

জানা গেছে, “শেখ হাসিনার বাংলাদেশ-ক্ষুধা হরে নিরুদ্দেশ” এ স্লোগানকে সামনে রেখে গ্রামের হতদরিদ্র লোকজনের মাঝে ১০টাকা মুল্যের ৩০ কেজি চাল বিতরণের ব্যবস্থা করেছে সরকার। এ চাল বিতরণের জন্য স্থানীয় পর্যায়ে ডিলার নিয়োগ দেয়া হয়। লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের ডিলার হিসেবে নিয়োগ পান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল করিম সেলিম। এ ইউনিয়নে ২৬৫ জন হতদরিদ্র পরিবার এ কর্মসূচির আওতায় রয়েছে। সোমবার করোনা ভাইরাসের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া এসব লোকজনের মাঝে চাউল বিতরণের সময় ১০ টাকা মূল্যের সুবিধাভোগী ৫৩ জনের কাছ থেকে কার্ড কেড়ে নেন। এসময় তারা প্রতিবাদ করলে বলেন পরে দেওয়া হবে।

এ নিয়ে ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী হারুনর রশীদ অভিযোগ করেন, ২০১৭ সালে আমাকে এ সুবিধার আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ওই সালে ২ বার এবং ২০১৮ সালে ১বার চাউল বরাদ্দ পাই। এরপর থেকে আমি আর কোন চাউল বরাদ্দ পাইনি। ডিলার রেজাউল করিম সেলিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি কাল-পরশু দিব বলে কালক্ষেপন করেন।

নুরুনাহার নামের এক নারী বলেন, আমি ৪ বছরে ২০ বার ৩০ কেজি চাউল পাওয়ার কথা থাকলেও শুধু ৪ বার ১০টাকা দামের চাউল পেয়েছি। বাকি চাউল ডিলার আমাকে দেয়নি। আমি প্রশাসনের কাছে এর বিচার চাই।

আবুল কালাম নামের এক ব্যক্তি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে তারা গরিব লোকজনের আহার কেড়ে নিচ্ছে। এসব চালচোরদের বিচার হওয়া দরকার। লক্ষ্যারচরের ছিকলঘাট স্টেশনে ডিলার হওয়ার কথা থাকলেও তার ঘরে ডিলার বসিয়ে চাল বিতরণ করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা কাইছার বলেন, আমার ইউনিয়নের ২৬৫ পরিবার ১০টাকা দামের চাল ক্রয়ের সুবিধা পেয়ে থাকেন। মঙ্গলবার দুপুরে এলাকার অন্তত ৫৩জন সুবিধাভোগী নারী-পুরুষ পরিষদ কার্যালয়ে এসে আমার কাছে অভিযোগ করে ডিলার বাতিলপূর্বক চাল চোরের শাস্তি দাবি করেন। ইতিপূর্বে এলাকার কয়েকজন ভুক্তভোগী এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেন বলেও জানান তিনি।

তবে, অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রেজাউল করিম সেলিম। তিনি বলেন, ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে না পেরে আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমুলক অপপ্রচার চালাচ্ছেন চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা কাইছার।

তিনি বলেন, আগামী ইউপি নির্বাচনে নিশ্চিত ভরাডুবির আশংকায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। চাল আত্মসাতের কোন ঘটনা ঘটেনি।

Exit mobile version