চকরিয়া করোনা আইসোলেশন ইউনিট ফান্ডে কাউন্সিলরের উপকরণ সামগ্রী হস্তান্তর

fec-image

কক্সবাজারের চকরিয়ায় করোনা আক্রান্ত রোগীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নবনির্মিত নতুন ভবনের ৫০ শয্যা আইসোলেশন ইউনিটকে বৃদ্ধি করে আরো নতুন ২৫শয্যা করোনা আইসোলেশন ইউনিট স্থাপিত হতে যাচ্ছে।

উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার জনসাধারণকে প্রাণঘাতী অদৃশ্য মহামারীতে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে ও রোগীর ভিড় কমাতে ২৫ শয্যা বৃদ্ধি করণের এ উদ্যোগ নেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও করোনা আইসোলেশন ইউনিট ফান্ড এর প্রধান পৃষ্টপোষক সৈয়দ শামসুল তাবরীজ।

করোনা আক্রান্ত রোগীদের সেবা ও কল্যাণে ইউএনও সৈয়দ শামসুল তাবরীজের মহৎ এ উদ্যোগের আহ্বানে ২৫টি বেড, ২৫টি বালিশ ও ২৫টি চাদর‘সহ বিভিন্ন (উপকরণ) নিয়ে মানবিকতার হাত বাড়িয়ে সাড়া দেন চকরিয়া পৌরসভার ৬নম্বর ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি মানবিক কাউন্সিলর জিয়াবুল হক।

বুধবার(২২ জুলাই) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে কাউন্সিলর জিয়াবুল হক আনুষ্ঠানিকভাবে ইউএনও সৈয়দ শামসুল তাবরীজ এর হাতে করোনা রোগীর সেবায় আইসোলেশন ইউনিটের উপকরণ সামগ্রী হস্তান্তর করেন।

আইসোলেশন ইউনিটের উপকরণ সামগ্রী হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন, করোনা আইসোলেশন ইউনিট ফান্ড’র কো-অর্ডিনেটর সাবিনা ইয়াসমিন ও মোহাম্মদ নুরুল আমিন খান, করোনা আইসোলেশন ইউনিট ফান্ড’র সদস্য ডা.মোসলেহ উদ্দিন ফারুক রিয়েল, মোহাম্মদ হোবাইবুল ইসলাম, আল রাজী চক্ষু হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রুহুল কাদের প্রমুখ।

জানা গেছে, গত মার্চ মাসের ১০ তারিখ কক্সবাজার জেলায় করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত কমিটির সভায় ‘করোনা মোকাবেলায় ৫০ শয্যা করে দুইটি হাসপাতালকে করোনা আইসোলেশন ইউনিট হিসেবে ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক মো.কামাল হোসেন।

এরই প্রেক্ষিতে রোগীর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে একটি ইউনিট নির্ধারণ করা হয় চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নবনির্মিত নতুন ভবনে ও অপরটি রামু উপজেলা হাসপাতালে একটি ভবনে।

এ দুটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভবনে ১০০ শয্যা আইসোলেশন ইউনিট বর্তমানে চালু রয়েছে।

তবে চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার জনসাধারণকে করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে ও রোগীদের ভিড় কমাতে নতুন করে ২৫ শয্যা বৃদ্ধি করণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৫০ বেডের আইসোলেশন বিভাগকে ৭৫ বেডে উন্নীত করা হয়। এই জন্য সমাজের শ্রেণী-পেশার নাগরিকদের অংশগ্রহণে করোনা আইসোলেশন ফান্ড (তহবিল) গঠন পুর্বক এই ২৫ শয্যার করোনা আইসোলেশন ইউনিট কার্যক্রমটি এগিয়ে নেয়া হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বলেন , উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন ইউনিটকে ৫০ বেড থেকে ৭৫ বেডে উন্নীত করা হচ্ছে। এ মহামারি করোনা সংক্রামক প্রতিরোধ করতে এবং আক্রান্ত রোগীদের বাঁচাতে সবার সহযোগিতার প্রয়োজন।

হাসপাতালে নতুন করে আরো ২৫শয্যার বেড স্থাপন হলে আসন সংকট দূর হবে এবং রোগীদের চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হতে হবে না বলে তিনি জানান।

উল্লেখ্য, জাতির এই সংকটময় মুহূর্তে প্রাদুর্ভাব শুরু থেকে মানবতার সেবায় অবিরাম ছুটে চলেছেন চকরিয়া পৌরসভার ৬নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিশিষ্ট সমাজ সেবক, দানবীর ও তরুণ জননেতা জিয়াবুল হক। অঘোষিত ভাবে যখন লকডাউন ঘোষণা করা হয় তার পর থেকে দরিদ্র, সুবিধা বঞ্চিত ও করোনা আক্রান্ত অসহায়দের পরিবারের মুখে প্রতিনিয়িত খাদ্য সহায়তা ও উপহার সামগ্রী নিয়ে তিনি সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন জনপদের অলিগলিতে ছুটে গেছেন।

তিনি নিজস্ব অর্থায়নে পৌরসভায় করোনাভাইরাস আক্রান্ত দরিদ্র পরিবার ও পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডসহ বিভিন্ন এলাকার অন্তত ১৫ হাজার কর্মহীন জীবিকা হারানো পরিবারের মাঝে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে খাদ্য সহায়তা, উপহার সামগ্রী ও নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেন।

তিনি বর্তমানে পৌরসভার আওতাধীন নয়টি ওয়ার্ডস্থ বিভিন্ন জনপদের পাড়া-মহল্লায় সৃষ্ট করোনাভাইরাস সংক্রমণ আক্রান্ত হওয়া পজিটিভ আসা অসহায় ও দরিদ্র রোগীর পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণে নিভৃতেই কাজ করে যাচ্ছেন।

সর্বশেষ গতকাল দুপুরে করোনা আক্রান্ত রোগীদের কল্যাণে ইউএনও সৈয়দ শামসুল তাবরীজের মহৎ উদ্যোগের আহ্বানে সাড়া দিয়ে করোনা আইসোলেশন ইউনিট ফান্ড এ ২৫টি বেড, ২৫টি বালিশ ও ২৫টি চাদরসহ বিভিন্ন (উপকরণ) নিয়ে মানবিকতার হাত বাড়িয়ে দেন কাউন্সিলর জিয়াবুল হক।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস, চকরিয়া
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন