চট্টগ্রামে কাঁচা মরিচের কেজি ১২০০!

fec-image

চট্টগ্রামের বাজারগুলোতে কাঁচা মরিচের ব্যাপক সংকট দেখা দিয়েছে। এই সুযোগে বিভিন্ন বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়। ফলে এখন আর কেজিতে নয়, ৫০ থেকে ১০০ গ্রাম করে কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চট্টগ্রামের পাইকারি আড়তে অধিকাংশ সবজি আসে বগুড়া, ফরিদপুর, জামালপুরসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। কিছু সবজি আশপাশের উপজেলা থেকেও আসে, তবে তা চহিদার তুলনায় একেবারেই কম। বন্যার কারণে গত তিন দিন ধরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল প্রায় বন্ধ থাকায় চট্টগ্রামের বাজারে কাঁচা মরিচ আসছে না। সরবরাহ না থাকায় বাজারে কাঁচা মরিচের সংকট তৈরি হওয়ায় দামও এখন আকাশচুম্বি।

শনিবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে সরেজমিনে চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট, কাজির দেউড়ি ও রিয়াজুদ্দিন বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচামরিচ ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। চকবাজার ও বহদ্দারহাটে ১২০০ টাকায় কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে রিয়াজুদ্দিন বাজারের পাইকারি আড়তে কাঁচা মরিচের দাম ১ হাজার ১০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। যদিওবা সরবরাহ না থাকায় শনিবার কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়নি।

কাঁচাবাজারগুলোতে বেশিরভাগ দোকানেই কাঁচা মরিচ নেই। যেগুলোতে আছে সেগুলোতে ১০০ গ্রাম কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। দাম শুনেই অনেক ক্রেতা কাঁচা মরিচ কিনছেন না। কেউ কেউ এক সপ্তাহ এই পণ্যটি না কেনার জন্য ফেসবুকে প্রচারণা চালাচ্ছেন।

বহদ্দারহাট কাঁচাবাজারে কাঁচা মরিচ কিনতে গিয়ে চমকে ওঠেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এস এম জিয়া চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘কাঁচা মরিচের দাম কত জানতে চাইলে বিক্রেতা বলেন ১২০ টাকা। ভেবেছিলাম এক কেজির দাম। কিন্তু পরে জানতে পারি ১০০ গ্রাম কাঁচা মরিচের দামই ১২০ টাকা চাচ্ছেন। সেজন্য আর কাঁচা মরিচ কিনিনি।’

রিয়াজুদ্দিন বাজারে কথা হয় ক্রেতা রুবেল হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বন্যার অজুহাত দেখিয়ে কাঁচা মরিচের দাম হাজারের ওপর রাখছেন বিক্রেতারা। এমন পরিস্থিতিতে সবাইকে বলব এক সপ্তাহ কাঁচা মরিচ না কিনতে।’

বাজারে দু-তিন দিন ধরে কাঁচা মরিচ আসেনি বলে জানিয়েছেন রেয়াজুদ্দিন বাজারের মেসার্স মেম্বার বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী নুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতি ও শুক্রবারেও প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা ছিল। কিন্তু বন্যার কারণে গত দু-তিনদিন চট্টগ্রামে কাঁচা মরিচ আসেনি। সেজন্য এখন বাজারে কাঁচা মরিচ নেই।’

অনেক ক্রেতা এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।

তবে সরবরাহ না থাকলে দাম বাড়ার কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপপরিচালক (চট্টগ্রাম) মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে অনেকেই কাঁচা মরিচের দামের বিষয়ে অভিযোগ দিয়েছেন। শিগগির অভিযান পরিচালনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন