parbattanews

‘চন্দ্রপাহাড়ে পর্যটন কেন্দ্র উন্নয়ন নিয়ে কোনো নীলনকশা বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না’

জীবননগর চন্দ্রপাহাড়ে পর্যটন কেন্দ্র উন্নয়ন নিয়ে তৃতীয় পক্ষ যাতে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার এবং চলমান শান্ত পরিস্থিতিকে অশান্ত করার অশুভ নীলনকশা বাস্তবায়ন করতে না পারে সেজন্য সর্তক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা।

বান্দরবানের নীলগিরি সংলগ্ন জীবননগর চন্দ্রপাহাড় (চিম্বুক পাহাড়) এ সেনাবাহিনী ও সিকদার গ্রুপের যৌথ উদ্যোগে ফাইভ স্টার হোটেল স্থাপন বিষয়ে প্রশাসনের অবস্থান পরিষ্কার করার লক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই আহ্বান জানান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান।

রবিবার (২২ নভেম্বর) সকালে বান্দরবান জেলা পরিষদ কনফারেন্স রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, পার্বত্য জেলা পরিষদ ও সেনাবাহিনীর মধ্যে সম্পাদিত চুক্তির শর্ত মেনে চিম্বুক পাহাড়ের ২০একর জমিতে হোটেল নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। স্থানীয় অধিবাসীদের জীবন যাপন ক্ষুন্ন না করে পযর্যটন সেবা উন্নয়ন সম্প্রসারণের জন্য সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করার করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আরো বলেন, হোটেল নির্মাণের জন্য প্রস্তাবিত জায়গাটির আশেপাশে কোন পাড়া বা অতীতে কোনো ঘরবাড়ি ছিল না। এরপরও সম্প্রতি সময়ে একটি মহল মানববন্ধন কর্মসূচিসহ বিভিন্ন অযৌক্তিক প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন।

সংবাদ সম্মেলনে পাঠ করা লিখিত বক্তব্যে জানা যায়, প্রস্তাবিত জায়গাটি ৩০২ নং মৌজার অন্তর্ভুক্ত। গত (২৮ ফেব্রুয়ারি) ২০১২ তারিখে ৪৩০ নং স্মরকমূলে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক প্রশাসনিক অনুমোদনের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন প্রেরণ করা হয়। পরে পার্বত্য এলাকার ভূমি বন্দোবস্ত কার্যক্রম স্থগিতাদেশের স্বত্বাধিকারী না হওয়ায় বন্দোবস্ত মামলাটি নিষ্পত্তি করা সম্ভব নয় বলে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়। ফলে পরিষদের ভোগ দখলীয় জমিটি পরিষদের নামে বন্দোবস্ত গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন থেকে যায়। পরবর্তী ২০১৮ সালে স্থানীয় পর্যটন উন্নয়ন কার্যক্রম পরিষদে ন্যস্ত হলে পরিষদের নিজস্ব উদ্যোগে নাইতং পাহাড়ে হটিকালচারের পাশাপাশি পর্যটন শিল্প উন্নয়নের জন্য রাস্তা নির্মাণ ও ছোট ছোট উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে সদর দপ্তর ৬৯ পদাতিক বান্দরবান সেনানিবাসের প্রস্তাব ও অনুরোধের প্রেক্ষিতে (১ জানুয়ারি) ২০১৮ তারিখ হতে (৩১ ডিসেম্বর) ২০৫৫ সাল পর্যন্ত ৪০ বছরের জন্য যথারীতি উভয়পক্ষের মধ্যে একটি চুক্তি সম্পাদন করা হয়।

সম্পাদিত এই চুক্তিতে সুনির্দিষ্ট ১৮টি শর্তাবলী প্রতিপালনের বাধ্যবাধকতা রাখা হয়। কিন্তু একটি পক্ষ চায় না পার্বত্য বান্দরবানে আন্তর্জাতিক মানের কোন হোটেল মোটেল বা পর্যটন হোক।

স্বার্থান্বেষী এই মহলটি ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের জন্য চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করে পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা মারমা বলেন, পর্যটন কেন্দ্র উন্নয়ন নিয়ে কোনো নীলনকশা বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবেনা।

Exit mobile version