অপহৃত চবি শিক্ষার্থীসহ ৬ জনকে উদ্ধারে যৌথ অভিযান


দুই দিনেও উদ্বার হয়নি খাগড়াছড়িতে অপহৃত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ৫শিক্ষার্থীসহ ছয় জন। এ নিয়ে উদেগ¦ ও উৎকন্ঠা বাড়ছে।
তবে সেনা সূত্র বলছে, অপহৃতদের উদ্বারে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ অভিযান চলছে।
গত বুধবার সকালে এ অভিযান শুরু হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্র জানায়, অপহৃত চবির ৫ শিক্ষার্থীসহ ৬ জনকে উদ্বারে সম্ভাব্য স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে। অপহৃতরা সকলে রাঙামাটি ও বান্দরবানের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল জানান, চবি’র ৫ শিক্ষার্থীসহ ৬ জনকে অপহরনের ঘটনায় পাহাড়ের আঞ্চলিক একটি সংগঠন জড়িত থাকতে পারে। আমরা মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের অবস্থান সনাক্ত করে উদ্ধারের চেষ্টা করছি।
তিনি জানান, অপহৃতদের উদ্বারে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে অভিযান চলছে। আমার অপহৃতদদের উদ্বারে সব ধরনের চেষ্টা করছে।
প্রসঙ্গত, বুধবার (১৬ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৬ টার সময় খাগড়াছড়ি জেলা সদরের গিরিফুল এলাকা থেকে সন্তু লারমা সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সদস্য চবি শাখার রিশান চাকমাসহ ৫ শিক্ষার্থীসহ ৬ ছয় জনকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করা হয়। রিশান চাকমা চবি’র আন্তজাতিক সর্ম্পক বিভাগের শিক্ষার্থী।
অপহরণের শিকার অন্য শিক্ষার্থীরা হলেন, চবির চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী মৈত্রীময় চাকমা, নাট্যকলা বিভাগের দিব্যি চাকমা , প্রাণী বিদ্যা বিভাগের লংঙি ম্রো এবং চারুকলা বিভিগের অলড্রিন ত্রিপুরা। তারা প্রত্যেককে বিশ^বিদ্যালয়ের ২০২৩-৩৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ।
সন্তু লারমা চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি’র) সভাপতি নিপুন ত্রিপুরা বলেন, রিশান চাকমা আমাদের ছাত্র সংগঠনের চবি শাখার সদস্য। তারা গতকাল (মঙ্গলবার) রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে সৈবাবি উৎসব শেষ করে খাগড়াছড়ি হয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরার কথা ছিল।
কিন্ত বাসে টিকেট না পাওয়ায় মঙ্গলবার রাতে সদর উপজেলার কুকিছড়া এলাকায় মৈত্রীময় চাকমার এক আত্মীয়ের বাড়িতে রাতযাপন করেছিল। সকাল ৭ টার গাড়িতে তাদের চট্টগ্রামে ফেরার কথা।
কিন্ত গিরিফুল এলাকা থেকে তাদেরকে জোরপূর্বক তুলে নেয়া হয়। এসময় শিক্ষার্থীদের বহনকারী টমটম চালককেও অপহরণ করা হয়। এই ঘটনার জন্য আমরা ইউপিডিএফ (প্রসীত) কে দায়ী করছি। তারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে।’
তবে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইউপিডিএফের প্রসীত গ্রুপের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা। তিনি বলেন , ‘আমাদের বক্তব্য হচ্ছে অপহরণের সাথে আমাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই। এই ধরনের প্রতহিংসা পরায়ন রাজনীতি আমরা করি না। আমরা সবসময় ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত বন্ধের পক্ষে। কোন মহল ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অপহরণের ঘটনা ঘটিয়ে আমাদের উপর দায় চাপাচ্ছে। ’