চলচ্চিত্র অনুদানে পূর্ণদৈর্ঘ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ্যের জন্য প্রস্তাব আহ্বান

fec-image

বরাবরের মতো চলচ্চিত্র অনুদানে পূর্ণদৈর্ঘ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ্যের জন্য প্রস্তাব আহ্বান করেছে সরকার। তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত এক প্রজ্ঞাপনে ২০২০-২১ অর্থবছরে পূর্ণদৈর্ঘ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের জন্য গল্প, চিত্রনাট্য ও অভিনয়শিল্পীদের নামসহ পূর্ণাঙ্গ প্যাকেজ আহ্বান করা হয়েছে। আগামি ২৯ অক্টোবর বিকেল চারটার মধ্যে প্রস্তাব জমা দিতে বলা হয়েছে।

এবার পূর্ণদৈর্ঘ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ্য মিলিয়ে প্রায় ২০টি চলচ্চিত্রকে অনুদান দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে জারিকৃত বিজ্ঞপ্তিতে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশীয় নির্মাতা ও প্রযোজকেরা অনুদানের জন্য আবেদন করতে পারবেন। বাংলাদেশের আবহমান সংস্কৃতিকে সমুন্নত রাখতে এবং একই সঙ্গে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন জীবনমুখী, রুচিশীল ও শিল্পমানসমৃদ্ধ গল্পের চলচ্চিত্রকে প্রাধান্য দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

এতে সাহিত্যনির্ভর গল্প ও চিত্রনাট্য অগ্রাধিকার পাবে বলে জানানো হয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে মূল লেখকের অনুমতি নিতে হবে। প্রযোজক, পরিচালক, চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পেশাদার ব্যক্তিদেরই প্রস্তাব জমা দিতে হবে।

একই সঙ্গে নির্মাণের সার্বিক পরিকল্পনা, শিল্পী ও কলাকুশলীদের তালিকাসহ পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাবের ১২টি কপি জমা দিতে হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জমা ছবি থেকে বাছাই করে অনুদানের জন্য ২০টি প্রস্তাব নির্বাচন করা হবে। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবির সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে একটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ও স্বল্পদৈর্ঘ্যের ক্ষেত্রে একটি শিশুতোষ চলচ্চিত্র থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে উপযুক্ত ছবি পাওয়া না গেলে সংশ্লিষ্ট শাখার অনুদান স্থগিত থাকবে। প্রতিটি পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবি সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি পাবে ২০ লাখ টাকা। কোনো প্রযোজক পরপর দুই বছর অনুদান পাবেন না।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: চলচ্চিত্র, চলচ্চিত্র অনুদান, পূর্ণদৈর্ঘ্য
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন