চলছে ১৮ দলের মহাসমাবেশ: আলটিমেটাম, টানা হরতালের মতো কর্মসূচীর ঘোষণা আসতে পারে
নিজস্ব প্রতিবেদক
সাভার ট্রাজেডির প্রতিবাদ, জড়িতদের শাস্তি, সরকারের ব্যর্থতা, দুর্নীতি, নির্দলীয় সরকার পূনর্বহাল ও সরকারের পদত্যাগের দাবিতে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে ১৮ দলীয় জোটের সমাবেশে শুরু হয়েছে।
সমাবেশ শুরু হওয়ার আগেই কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে শাপলা চত্বর। ১৮ দলীয় জাটের সমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে মতিঝিল শাপলা চত্বররই নয় দৈনিক বাংলার মোড়, আরামবাগ, ইত্তেফাক মোড়সহ আশ পাশের এলাকা রীতিমত লোকে লোকারণ্য হয়ে গেছে। এদিকে সমাবেশের সর্বত্র একই আলোচনা, কি বলবেন খালেদা জিয়া, কি ধরনের কর্মসূচী দেবেন তিনি। রাজণৈতিক পর্যবেক্ষকরাও কান পেতে আছেন খালেদা জিয়া কি ধরণের ঘোষণা দেন তা শোনার জন্য। বিএনপি সূত্র বলছে, সংলাপ ইস্যু সামনে আসায় দাবি আদায়ে সরকারকে ফের সময় বেধে দেয়া হচ্ছে। এই সময়সীমা চলতি মাস পর্যন্ত হতে পারে। তবে মাঝামাঝি সময়ে ৬০ ঘণ্টার হরতাল দেয়া হতে পারে। এছাড়া মাসব্যাপী সারা দেশে বিক্ষোভ, সমাবেশ ছাড়াও অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জোটের নেতারা জানিয়েছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক নেতা বলেছেন, ‘কর্মসূচি নির্ধারণ করবেন দলীয় চেয়ারপারসন। তবে সরকার বিরোধী নেতাকর্মীদের সঙ্গে যে আচরণ করছে, তাতে আর নিশ্চুপ করে বসে থাকার সময় নেই।’
তিনি বলেন, দলের শীর্ষ নেতাদের মুক্তি দেয়া না হলে চলতি মাসের মাঝামাঝি ৬০ ঘণ্টার হরতাল কর্মসূচি দেয়া হবে। তবে এর আগে সরকারকে দাবি আদায়ে সময় বেধে দেয়া হবে।
শনিবার দুপুর দুইটা ৫ মিনিটে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে সমাবেশ শুরু হয়। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের সমাবেশ শুরু হয়েছে। শুরুতে সাভার বিপর্যয়ে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত ও আহতদের আরোগ্য কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। সমাবেশে সভাপতিত্বে করছেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা। সমাবেশের শুরুতে বক্তব্য রাখেন শিবিরের সেক্রেটারি আবদুর জাব্বার। প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
ইতিমধ্যে সমাবেশের মঞ্চে উপস্থিত হয়েছেন বিএনপি ও ১৮ দলের শীর্ষ নেতারা।