ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জানিয়েছেন, চলতি বছরের (২০২১ সাল) মধ্যেই ৫জি যুগে প্রবেশের সব প্রস্তুতি বাংলাদেশ ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে হুয়াওয়ে আয়োজিত ‘হুয়াওয়ে ক্যারিয়ার কংগ্রেস ২০২১, বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘৫জি শুধু উচ্চগতির ডিজিটাল সংযোগই নয়, এটি ডিজিটাল যুগের আধুনিক প্রযুক্তির ব্যাকবোন। ২০২১ সালের মধ্যে ৫জি যুগে প্রবেশে বাংলাদেশ সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছে। এটি ব্যবহার করে জীবনের সকল ক্ষেত্রে; কৃষি ও শিল্পে বৈপ্লবিক পরিবর্তন করে একটি নতুন যুগ তৈরি করবে সেটি হবে কৃষি, শিল্প ও তথ্যযুগের পরের যুগ।’
তিনি বলেন, ‘কৃষি যুগের বাংলাদেশকে তিনটি শিল্প বিপ্লব মিস করার পরও ডিজিটাল যুগে নেতৃত্ব দেয়ার উপযোগী করে গড়ে তুলছি আমরা। সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি।’
২০১৮ সালে দেশে ৫জি পরীক্ষা সম্পন্ন করতে হুয়াওয়ের সহযোগিতার প্রশংসা করে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ‘এটি ছিল আমাদের জন্য খুব বড় একটা অভিজ্ঞতা। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে আমরা ২০২১ সালের মধ্যে ৫জি চালুর লক্ষ্য নির্ধারণ করে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি।’
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় গত ১২ বছরে বাংলাদেশ ডিজিটাল সংযোগ প্রতিষ্ঠায় যুগান্তকারী পরিবর্তন ঘটিয়েছে। কোভিডকালে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির প্রয়োজনীয়তা দেশের জনগণ উপলব্ধি করেছে। এই কর্মসূচির কারণে বৈশ্বিক অতিমারীতেও মানুষের জীবনযাত্রা থেমে থাকেনি।’
স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় এখন মানুষের ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের চাহিদা দ্বিগুণ বেড়েছে জানিয়ে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক সংযোগ স্থাপন প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। শতকরা ৯৮ ভাগ মোবাইল নেটওয়ার্ক ফোরজি নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে বক্তারা প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনার নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান শ্যামসুন্দর সিকদার, হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সিইও ঝুয়াং ঝ্যাংজুন ওয়াইন্ড স্পেস কনসালটিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্কট ডব্লিউ মাইন হ্যান, আইটিইউ’র এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আঞ্চলিক কার্যালয়ের কর্মকর্তা আমির রিয়াজ বক্তৃতা করেন।