চাঁদাবাজি প্রেক্ষিতে বান্দরবানে-থানচি রুটে বাস চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে সাধারণ যাত্রী
চাঁদাবাজি করার প্রেক্ষিতে বান্দরবানের থানচি সড়কে দূরপাল্লা বাস চলাচল বন্ধ করেছে পরিবহণ মালিক সমিতিরা। যার ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ওই রুটে আসা যাওয়া চলাচলকারী সাধারণ যাত্রীদের। তবে কি কারণে বাস চলাচলের বন্ধ রয়েছে সে ব্যাপারে জানেন নাহ যাত্রীরা।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে বান্দরবান-থানচি সড়কের দূরপাল্লা বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
জানা গেছে, গতকাল অজ্ঞাত নম্বর থেকে ফোন করে থানচি বাসস্টেশন লাইনম্যান নিকট চাঁদাদাবী করে। মুঠোফোনে ওই প্রান্ত থেকে বলা হয় থানচি সড়কের বাস চলাচল করতে হলে দিতে চাঁদা। অন্যথায় চাদা না দিলে ওই রুটে চলা বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হুমকি দেওয়া হয়। যার ফলে আতঙ্কিত হয়ে সকাল থেকে বাস চলাচলের বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে পাহাড়ের কোন সংগঠন থেকে চাঁদাদাবী করেছে সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানচি বাস স্টেশনের লাইনম্যান মংচিংনু মারমা। তিনি জানিয়েছেন, গতকাল অজ্ঞাত নাম্বার থেকে ফোন করে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে বাস পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। তাই সমিতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্টেশন থেকে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। তবে পাহাড়ের কোন সংগঠন থেকে চাঁদা দাবি করেছে সে বিষয়ে তিনি নিশ্চিত নয় বলে জানান।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল থেকে বান্দরবানের থানচি স্টেশনে সাধারণ যাত্রীদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। সেখানে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষজন নিজ কর্মস্থলে যেতে বাসের ছাড়ার আশায় ছিলেন। আবার অনেকে বাইক কিংবা তিন চাকা মাহিন্দ্রা রিজার্ভ করে নিজ গন্তব্যে ছুটতে দেখা গেছে। ফলে অধিক ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে বলে জানান যাত্রীরা।
স্টেশনে অপেক্ষা করতে থাকা ম্রাসাইউ, মোল্লাসহ বেশ কয়েকজন বলেন, কি কারণে সকাল থেকে বাস ছাড়ছে না সেটি বিষয়ে জানেন না। থানচি ও বলি পাড়াতে যাওয়ার জন্য সকাল থেকে স্টেশনে অপেক্ষা করছি। কেউ কেউ দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে সাধারণ যাত্রীদের অনেকটাই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে জিপ ও মাহেন্দ্র মাইক্রোবাস সমিতির সভাপতি ইকবাল বলেন, আমাদের মাহেন্দ্র জিপ গাড়ি চলাচল করছে থানচি সড়কে। দূরপাল্লা বাসগুলি স্টেশন থেকে কেন ছাড়েনি এ ব্যাপারে জানি না।
এ ব্যাপারে থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মামুন বলেন, বিষয়টি শুনেচ্ছি। তবে কি কারণে বন্ধ রয়েছে, তা খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে বলে ফোন কেটে দেন।