parbattanews

চাকরির দাবীতে কাফনের কাপড় পরে থাইংখালীতে মানববন্ধন

উখিয়া উপজেলার সর্ববৃহৎ রোহিঙ্গা অধ্যূষিত এলাকা পালংখালী ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়ের লক্ষে পালংখালী অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির ব্যানারে ৭ দফা দাবীতে বৃহৎ পরিসরে ধর্মঘট পালন করা হয়েছে।

রবিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে পালংখালী অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যরা দিনব্যাপী ধর্মঘট পালন করেন।

পালংখালী অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির আয়োজনে এই ধর্মঘটে স্থানীয় শত শত শিক্ষিত বেকার যুব সমাজের পাশাপাশি বিভিন্ন স্থরের ভোক্তভোগী মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে সকাল থেকে কাফনের কাপড় পরে সড়কে অবস্থান নেন এবং প্রত্যেকটি গাড়ি তল্লাশি করে এনজিও কর্মীদের ক্যাম্পে যাওয়ার সময় গাড়ি থামিয়ে তাদের দাবি-দাওয়া সম্পর্কে অবগত করেন।

অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির নেতৃবৃন্দরা বলেন, ২০১৭ সাল থেকে রোহিঙ্গা আসার কারণে আমরা স্থানীয়রা নানা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। যা প্রতিনিয়ত তা ভোগ করছি। রোহিঙ্গা আসার ফলে দেশি-বিদেশি এনজিও-আইএনজিও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে। তারা বার বার আমরা যারা স্থানীয় রয়েছি তাদের বাদ দিয়ে চাকরি করার সুযোগ না দিয়ে রোহিঙ্গা যুবকদের দিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

তাছাড়া উচ্চপদস্থ কর্মচারীরা অন্যান্য অঞ্চলের হওয়াই তারা সুকৌশলে তাদের আত্মীয় স্বজনদের চাকরির সুযোগ করে দিচ্ছে। যার কারণে আমরা স্থানীয় শিক্ষিত সমাজ বঞ্চিত হয়ে পড়ছি।

স্থানীয়দের ৭০% কোটা নিশ্চিতসহ প্রস্তাবিত দাবি-দাওয়া মেনে না নিলে পরবর্তীতে আরো বড় ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বলেও জানান অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির নেতৃবৃন্দরা৷

এসময় বক্তব্য রাখেন সমাজ সেবক এডভোকেট এম এ মালেক, পালংখালী অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক রবিউল আলম, সদস্য সচিব আব্দুল গফুর, যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন, দেলোয়ার হোসাইন বাপ্পি, এতমিনানুল হক, মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ প্রমুখ।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গা আসার কারণে স্থানীয়রা নানাবিধ সমস্যায় ভুগছে। আর এনজিও-আইএনজিও গুলো স্থানীয়দের বাদ দিয়ে ৮০% রোহিঙ্গাদের নিয়ে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের প্রধান দাবি হলো রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন করা। কিন্তু এনজিও-আইএনজিও গুলো রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন করার চিন্তা না করে পূর্ণবাসন করার পায়তারা চালাচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে উখিয়া উপজলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির ব্যানারে স্থানীয় ছেলেরা চাকরির দাবীতে সড়কে গাড়ি থামিয়ে আন্দোলন করেছিল সকালে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের দাবি-দাওয়ার বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ে জানানো হবে বলে আশ্বস্থ করলে তারা সেখান থেকে সরে আসেন।

Exit mobile version