চার সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, ভোট গ্রহণ ১৫ জুন
নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছেন নির্বাচন কমিশন। আজ সোমবার দুপুরে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দিন আহমদ এই তফসিল ঘোষণা করেন।
এর আগে বেলা ১১টা থেকে এ নির্বাচন নিয়ে ইসির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে চার জন নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনের সচিব অংশ নেন।
সিইসির সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- নির্বাচন কমিশনার মো. আবদুল মোবারক, মো. আবু হাফিজ, জাবেদ আলী, মো. শাহনেওয়াজ ও কমিশনের সচিব ড. মোহাম্মদ সাদিকসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
তফসিল ঘোষণা করে রকিব উদ্দিন জানান, আগামী ১৫ জুন রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশনে ভোট গ্রহণ করা হবে। মেয়াদ উত্তীর্ণ এই চার সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১২ মে। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ১৫ ও ১৬ মে এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৬ মে।
এদিকে সাভারে ভবন ধসে বহু মানুষ হতাহত হওয়ার মতো দুর্যোগকালীন মুহূর্তে কেন এরকম তাড়াহুড়া করে চার সিটির তফসিল ঘোষণা করা হলো, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আমরা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ক্ষেত্রে যেসব বিষয় বিবেচনায় রাখি, তার মধ্যে প্রধান হচ্ছে পাবলিক পরীক্ষা। অর্থাৎ আমরা দেখি যে, নির্বাচনের তারিখের সঙ্গে কোনো পাবলিক পরীক্ষা সাংঘর্ষিক হয় কি না। কেননা আপনারা জানেন, নির্বাচনের ভোট গ্রহণ সাধারণত বিভিন্ন স্কুল কলেজে হয়ে থাকে। আর নির্বাচনী কর্মকর্তাও আমরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিয়ে থাকি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে। সেক্ষেত্রে বড় কোনো পরীক্ষা থাকলে আমাদের অসুবিধা হয়। সেসব দিক বিবেচনা করেই আমরা এ চার সিটির নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছি। এখানে আমরা কোনো তাড়াহুড়া করিনি বা বিলম্বও করিনি।
একই দিনে চার সিটির ভোট গ্রহণ করা হবে কেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, একই দিনে একাধিক সিটির ভোট গ্রহণ আগেও হয়েছে। তাছাড়া নির্বাচনী এলাকা ভিন্ন এবং এগুলো শহরকেন্দ্রিক। সুতরাং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্যই এটা অসুবিধা হবে না।
সিইসি জানান, প্রত্যেকটি সিটি করপোরেশনের একটি করে সাধারণ ওয়ার্ডে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে। এছাড়া সিটি করপোরেশন এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে মোবাইল/স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে পুলিশ, এপিবিএন এবং ব্যাটালিয়ান আনসার নিয়োজিত থাকবে। সেইসঙ্গে র্যা বও মোবাইল/স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে। এছাড়া প্রতিটি মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হবে। আর নির্বাচনী অপরাধ বিচারের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটও নিয়োগ করা হবে। ভোট গ্রহণের দিন ১৫ জুন ওই চার সিটি করপোরেশন এলাকায় সাধারণ ছুটি থাকবে।
এদিকে নবগঠিত গাজীপুর সিটির নির্বাচন কবে হবে জানতে চাইলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নবগঠিত এ সিটির গেজেট প্রকাশের পরে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে এবং এর ফলে কিছু এলাকায় পরিবর্তন এসেছে। আর এই পরিবর্তিত সীমানার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ভোটার তালিকা সংশোধন করা হচ্ছে। এ কাজটি শেষ হলেই গাজীপুর সিটির নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে।