চীনের এক শহরেই দিনে ১০ লাখ মানুষের করোনা শনাক্ত

আবারও নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত রোগীদের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে চীন। রোগীর চাপে বেহাল দশা হাসপাতালগুলোর। জানা যায়, চীনের শিল্পাঞ্চলীয় প্রদেশে ঝেজিয়াংয়ে দিনে ১০ লাখের মতো সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। তবে আগামী দিনগুলোতে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা কর্তৃপক্ষের।
জরুরি চিকিৎসায় নিয়োজিত বেইজিংয়ের একজন চিকিৎসক হাওয়ার্ড বার্নস্টেইন জানান, নিজের দীর্ঘ কর্মজীবনে এমন চিত্র কখনও তিনি দেখেননি।
ক্রমবর্ধমান সংখ্যায় রোগীরা তার হাসপাতালে আসছে। প্রায় সবাই বয়স্ক। অনেকেই আসছে খুব অসুস্থ অবস্থায়। অনেকের কোভিড ও নিউমোনিয়ার উপসর্গ রয়েছে। রাজধানী বেইজিংয়ের সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি চাপ বেড়েছে শ্মশানগুলোতেও।
বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে হাওয়ার্ড বার্নস্টেইন জানান, বেইজিং ইউনাইটেড ফ্যামিলি হসপিটাল ভবনটি ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগীতে ভরে গেছে। এছাড়াও অন্যান্য ওয়ার্ডের পাশাপাশি আইসিইউ পর্যন্ত রোগীতে ভরে গেছে।
বেইজিংয়ের বেসরকারি র্যাফেলস হাসপাতালের চিফ মেডিক্যাল অফিসার সোনিয়া জুটার্দ বুরেউ বলেন, রোগীর সংখ্যা তাদের স্বাভাবিক মাত্রার থেকে পাঁচ থেকে ছয় গুণ বেশি।
প্রায় এক দশক ধরে চীনে কাজ করা সোনিয়া জুটার্দ বুরেউর আশঙ্কা, বেইজিংয়ে এই তরঙ্গের সবচেয়ে খারাপ সময়টি এখনও আসেনি। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশটি জিরো-কোভিড নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনার পর থেকেই করোনার প্রকোপ বাড়তে শুরু করে। জিরো-কোভিড নীতির আওতায় লাখো মানুষকে দীর্ঘদিন ধরে টানা লকডাউনে রাখা হয়েছিল।
রবিবার চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন (এনএইচসি) করোনায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা প্রকাশ করা বন্ধ করায় দেশটিতে সংক্রমণের তথ্য পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। করে এনএইচসি।