ঘুরবে সাধারণ মানুষের ভাগ‍্যের চাকা

চুনিলাল সেতুতে বদলে গেল রাঙ্গামাটির যোগাযোগ ব্যবস্থার চিত্র

fec-image

নানিয়ারচর উপজেলা সদরে চেঙ্গি নদীর ওপর আধা কিলোমিটার (৫০০ মিটার) দৈর্ঘ্যর যে সেতুটি নির্মাণ করে বর্তমান সরকার, তা ২০১৬ সালের নভেম্বরে শুরু হয়ে তা শেষ হয় ২০২০ সালের ৩০শে ডিসেম্বর ।

সেতুটি নির্মাণকাজ করেছে সেনাবাহিনীর ২০ ও ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন। সেতুটি নির্মাণে রাঙামাটি জেলা সদরের সড়ক যোগাযোগে সংযুক্ত করেছে নানিয়ারচরকে।যার নামকরণ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে প্রয়াত চিত্র শিল্পী বাবু চুনিলালের নামে”চুনিলাল সেতু”

তবে এসেতুটির সাথে লংগদু, বাঘাইছড়ি এবং খাগড়াছড়ির দীঘিনালা,মহলছড়ি উপজেলাকে সংযোগ দিতে পারলে ঐসব এলাকার জনসাধারণের জীবনযাত্রা ও নানিয়ারচরের মানুষের অর্থনৈতিক চাকা ঘুরে যাবে বলে মনে করছেন এলাকাবাসীরা।

যদি নানিয়ারচর সদর থেকে লংগদু সদর পর্যন্ত সড়ক নির্মান করা হয়, বিশেষ করে লংগদু ও দীঘিনালা হয়ে সরাসরি সাজেক ও বাঘাইছড়ি উপজেলার মারিশ‍্যার জনসাধারন,পর্যটক এ সেতুর সুবিধা ভোগ করতে পারবে। এতে বাঁচবে সময় ও যাতায়াত খরচ।

তবে কাপ্তাই লেকের পানি প্রতিবছর শুকনো মৌসুমে কমে যাওয়ার ফলে রাঙ্গামাটি রিজার্ভবাজার থেকে নৌপথে চলাচল বিঘ্ন ঘটে,পরে ঐসব এলাকার মানুষজনকে বাধ‍্যতার সাথে বিশেষ করে বাঘাইছড়ি,লংগদুর যাত্রীরা খাগড়াছড়ি সদর হয়ে চলাচল করতে হয় যা অনেক সময় কষ্ট সাধ‍্য ব‍্যাপার হয়ে পড়ে।অনেকের দিনে দিনে জেলার কাজ কর্ম সেরে ঘরে ফিরতে পারেন না।

তাই এ সেতু দিয়ে রাঙ্গামাটি সদর হয়ে নানিয়ারচর উপজেলা সদর পর্যন্ত সড়ক চলাচল থাকলেও লংগদু ও বাঘাইছড়ির সাথে চলাচলের রাস্তা না থাকায় অন‍্যান‍্য উপজেলার মানুষ এ সেতুর সুবিধা পাচ্ছে না।

তবে নানিয়ারচর উপজেলাসহ রাঙ্গামাটি জেলার যোগাযোগ ব‍্যবস্থা এ সেতু আমূল পরিবর্তন এনেছে। বদলে গেছে সার্বিক চিত্র।

এ বিষয়ে নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রগতি চাকমা জানান, নানিয়ারচর উপজেলা থেকে লংগদু উপজেলার দূরত্ব বেশি না। আনুমানিক ৩৫-৩৬কিলোমিটার। এই সড়কটি দ্রুত নির্মাণ করা গেলে খুব সহজেই অন‍্য দুইটি উপজেলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করা যাবে।আমি বরাবরে এমপি মহোদয়ের কাছে অনুরোধ করব বাকি রাস্তা টুকু এলজিডির মাধ‍্যমে মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব পাঠানোর জন‍্য।তাহলে দুইটি উপজেলার মানুষের কষ্ট লাঘব হবে।

সূত্র: যায়যায়দিন

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন