চেংগী নদীতে ফুল ভাসিয়ে পানছড়িতে বিজু উৎসবের শুরু
পুরাতন বছরের দু:খ আর হতাশাকে মুছে নতুন বছরে সুখ, শান্তি আর আনন্দের প্রত্যাশায় চেংগী নদীতে ফুল ভাসিয়ে পানছড়িতে শুরু হয়েছে বিজু উৎসব।
উৎসবের প্রথম দিনেই শান্তিপুর রাবার ড্যাম এলাকায় নানান ফুল নিয়ে হাজির হয় কয়েক সহশ্রাধিক আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের শিশু-কিশোর, তরুণ- তরুণীরা ঐতিহ্যবাহী পোশাকের সাথে মাথায় ফুল, কানে দুল আর আলতা মাখা নুপুর পায়ে যোগ দেয় উৎসবে। ব্যান্ড পাটির ডাক আর ঢোলের বাড়ির সাথে নাচে গানে মুখরিত করে তোলে পানছড়ি-খাগড়াছড়ি সড়ক ও শান্তিপুর রাবার ড্যাম এলাকা।
বুধবার (১২ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে চেংগী নদীতে ফুল ভাসানোর সাথে সাথেই চেংগী নদী যেন ফুলের নদীতে পরিনত হয়। রাবার ড্যামের বুক চিরে কল কল শব্দে আসা পানিতে ফুল ভেসে যাওয়ার দৃশ্য ছিল নজরকাড়া। চেংগীর বালুর চরে বানানো চনের চাউনিতে তৈরী করেছি মৌনঘর। মৌনঘরের সামনে বানানো মঞ্চে নেচে-গেয়ে জমিয়ে তুলেছিল ক্ষুদে নৃত্য শিশুরা। উপজেলা প্যানেল চেয়ারম্যান চন্দ্র দেব চাকমা, উৎসব কমিটির প্রধান ১নং লোগাং ইউপি চেয়ারম্যান জয় কুমার চাকমা, ২নং চেংগী ইউপি চেয়ারম্যান আনন্দজয় চাকমার নেতৃত্বে বিশালাকার র্যালী প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে চেংগী নদীতে এসে ফুল ভাসায়।
পানছড়ির চৌধুরী পাড়ায় মারমা সম্প্রদায় দারুণ আনন্দে পালন করেছে সাংগ্রাই উৎসব। পানছড়ি মডেল সরকারী উ”চ বিদ্যালয় মাঠে তারা আয়োজন করেছিল জলকেলী। ঐতিহ্যবাহী মারমা পোশাকে নেচে-গেয়ে পানি মেরে জলকেলীর শতভাগ তৃপ্তির স্বাদ নেয় তারা।
এদিকে বৈসু উদযাপনে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের একটি র্যালী প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় পাহাড়ের ঐতিহ্যবাহী চান্দের গাড়ীতে চড়ে নাচে আর গানে সড়ক মাতিয়ে রাখে। র্যালী পরবতী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় আদি ত্রিপুরা পাড়া এলাকায়।
উল্লেখ্য, ১২’এপ্রিল বুধবার ফুল বিজু। ১৩’এপ্রিল দ্বিতীয় দিন পালন হয় মূল বিঝু আর ১৪’এপ্রিল তৃতীয় দিনটি হলো গজ্জ্যেপজ্জ্যে।
নিউজটি ভিডিওতে দেখুন: