বান্দরবানের লামায় এক স্টুডিওতে ছবি তুলতে এসে জোরপূর্বক ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১৫ বছর বয়সী এক নাবালিকা। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্টুডিও মালিক চন্দন দাশ(৪৪) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে বান্দরবান সদর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সে লামা পৌর এলাকার বাজার পাড়ার মৃত তেজেন্দ্র লাল দাশের ছেলে।
অভিযোগে সূত্রে জানা যায়, উপজেলার লামা সদর ইউনিয়নের মেরাখোলা গ্রামের ১৫ বছর বয়সী এক তরুণী ২০১৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর বেলা আড়াইটায় লামা বাজারস্থ মা মনি ডিজিটাল স্টুডিওতে ছবি তুলতে গেলে মালিক চন্দন দাশ তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করার কারণে শিশুটি অন্তস্বত্তা হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে নাবালিকাটি অন্ত:স্বত্বার বিষয়টি চন্দন দাশকে জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে গালাগালি ও মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। এ অপমান ও কষ্ট সহ্য করতে না পেরে গত শুক্রবার সকালে নাবালিকা বিষপান করে আত্বহত্যার চেষ্টা চালালে ঘটনাটি জানাজানি হয়।
পরে নাবালিকার মা হালিমা খাতুন বাদী হয়ে লামা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯ (১) ধারায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় রোববার দুপুরে ধর্ষক চন্দন দাশকে আটক করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করেলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেয়।
