ছোট ও মাঝারি গরুতে আগ্রহ বেশি ক্রেতাদের

fec-image

কোরবানির ঈদের অন্যতম আকর্ষণ পশু কেনা। পশু ক্রয়ে সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জে পড়তে হয় মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের। বাজেট ও সাধের সমন্বয় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। যে কারণে পরিকল্পনার শুরু থেকেই তাদের লক্ষ্য থাকে মাঝারি ও ছোট আকারেরে গরু কোরবানি দেওয়া। অনেকে আবার মাংসের স্বাদের বিবেচনায় দেশীয় গরু কিনতে চান।

সবকিছু মিলিয়ে তুলনামূলক মাঝারি কিংবা ছোট গরুর চাহিদা বেশি বাজারে। বিক্রিও বেশি হচ্ছে। গত কয়েকদিনের তুলনায় আজকে গরু বিক্রির পরিমাণ বেড়েছে।

আজ রাজধানীর তেজগাঁও টেকনিক্যাল মাঠের গরুর হাট ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে। দুপুরে হাটে গিয়ে দেখা যায়, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলজুড়ে এ হাট বসানো হয়েছে। হাটে ৬০ হাজার থেকে ৬ লাখ টাকার গরু উঠেছে। বেশিরভাগ ক্রেতাই বিক্রেতাদের সঙ্গে দামাদামি করছেন। মনের মতো দাম না পেলে গরু ছাড়ছেন না তারা। অনেক ক্রেতা শেষ মুহূর্তে দাম কমতে পারে সেই আশায় অপেক্ষা করছেন। যদিও আজ সকাল থেকে গরু বিক্রি বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

শেরপুর থেকে ২২টি গরু এনেছেন ব্যবসায়ী আরশাদ। তিনি বলেন, আমার কাছে মাঝারি ও ছোট গরুর সংখ্যা বেশি ছিল। গতকাল তেমন বিক্রি না হলেও আজ সকালেই ৮টি গরু বিক্রি করেছি। আমি আগামীকালের আশায় থাকতে চাচ্ছি না। মোটামুটি লাভ হলেও গরু ছেড়ে দেব।

মাঝারি সাইজের দুটি গরু কিনেছেন নিজামুল হক। তিনি বলেন, হাজীপাড়া থেকে এখানে এসেছি। প্রথমে ইচ্ছে ছিল বড় আকারের গরু কিনব। পরে আমার অংশীদারদের পরামর্শে ছোট আকারের দুটি গরু ১ লাখ ৬৮ হাজার টাকায় কিনেছি। দেশি গরু দেখতে ছোট হলেও মাংস ও স্বাদ বেশি। এ কারণে ছোট আকারের গরু কিনলাম।

তেজগাঁও হাটের ইজারাদার হোসেন খান বলেন, প্রথম দিকে গরু-ছাগল বিক্রির পরিমাণ কম হলেও বর্তমানে পশু বিক্রির পরিমাণ বেড়েছে। দামও আগের তুলনায় কমেছে। মাঝারি সাইজের গরুর চাহিদা তুলনামূলক বেশি। চলছেও বেশি। আমরা ৫ শতাংশ হারে হাসিল আদায় করছি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন