parbattanews

জমি দখল করে লুটপাটের অভিযোগ হোয়ানক আ’লীগ সভাপতি’র বিরুদ্ধে

 

মহেশখালী প্রতিনিধি:

মহেশখালীর হেতালিয়া ঘোনায় জোর পূবর্ক ২০ কানি চিংড়ি ঘের ও লবণ মাঠের জমি দখল করে লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে হোয়ানক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মীর কাসেম চৌধুরী গংদের বিরুদ্ধে।

স্থানীয় সাবেক মেম্বার হাজী আবুল কাসেম ও হেতালিয়া মৌজার জোর খতিয়ানের অংশীদার সোমবার (৫ জানুয়ারি) বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে জানান, হোয়ানক ইউনিয়নের হেতালিয়া মৌজায় আমাদের পৈত্রিক মিরাজপ্রাপ্ত ও খরিদা মূলে প্রায় ২০ কানি লবণ ও চিংড়ি চাষের জমি আছে।

যা আমরা আমাদের পূর্ববর্তী বংশানুক্রমে ভোগ দখলে ছিলাম এবং আছি। আমরা সরকারের নির্ধারিত রাজস্ব প্রদানও করে থাকি। ইত্যবসরে হোয়ানক কালালিয়াকাটা গ্রামের  আমির আলীর পুত্র ভূমিদস্যু হিসাবে খ্যাত ও সন্ত্রাসের গডফাদার একাধিক মামলার পলাতক আসামি পরধন লোভী মীর কাসেম চৌধুরী তার ভাই চৌধুরী মিয়া নামের গঠিত বাহিনী আমাদের এ জমি দখল করে তাড়িয়ে দেয়।

আমাদের লবণ চাষি শ্রমিক, বর্গাচাষি ও নিজেদের স্থান থেকে অস্ত্রের মুখে জমি থেকে উচ্ছেদ করে।

আমাদের বসত বাড়ি তাদের বসত বাড়ির অদূরে হওয়ায় সেই সুবাধে আমাদেরকে বিতাড়িত করে।

হেতালিয়া মৌজার আর এস ৪১,এম,আর আর ৩৭,বিএস ৩০ খতিয়ানে মীর কাশেম ও চৌধুরী বাহিনী নামে কোন নিজস্ব বা পৈত্রিক সম্পত্তি,  কোন ভূমি সম্পত্তি  না থাকা সত্বেও তাদের জোর খতিয়ান ও পেশিশক্তির ক্ষমতার অপব্যবহার করে এ জমিতে রাজত্ব কায়েম করতে চায়।

আমি ও আমার সাথে অপরাপর অংশীদারগণ বিভিন্ন ব্যবসায়ী, পেশাজীবী, চাকরীজীবী ও কৃষক শ্রেণির মানুষ।

আমরা তাদের অস্ত্র ও পেশিশক্তির কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছি।

এমতাবস্থায় আমরা মহেশখালীর প্রশাসনের কাছে এ জমি সন্ত্রাসী বাহিনীর কবল হতে উদ্ধার পেতে আকুল আবেদন করছি।

মূলত মীর কাশেম গংরা আওয়ামী লীগের সভাপতি হওয়ার কারণে সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন পন্থায় জিম্মি করে তাদের জমি ভোগ দখল করে যাচ্ছে।

সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আমাদের জমি গুলো ফিরে পাওয়ার আশায় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি গোচর করছি।

এবিষয়ে অভিযুক্ত মীর কাশেম চৌধুরী জানান, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সঠিক নয়, তাকে ফাঁসাতে প্রতিপক্ষের লোকজনের এহেন কমর্কাণ্ড করে যাচ্ছে।

Exit mobile version