parbattanews

জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে নানিয়ারচরে দরিদ্র কৃষককে হয়রানির অভিযোগ

জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে খাগড়াছড়ির নানিয়ারচরে দরিদ্র কৃষককে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। মামলা, হুমকি ও হয়রানি করে অন্যের জমি দখলের চেষ্টা করে যাচ্ছে (৪৬) বাবুল নামের এক ব্যক্তি। এমনটাই অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী মো. দুলাল মিয়া। স্থানীয় সালিশ মীমাংসা না মেনে কৃষক মো. দুলাল মিয়ার আনারসের চারা ও কলা বাগান ধ্বংস করায় নানিয়ারচর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে ভুক্তভোগী এই চাষি।

ভুক্তভোগী এই কৃষক জানায়, সম্প্রতি বাবুল মিয়া তার চাষ করা আনারস বাগানে রোপনকৃত আনারস গাছ ও কলা গাছ ধ্বংস করেছে। এছাড়াও তাকে বিভিন্নভাবে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ কর্তৃক তাদের বিরোধী জমির সীমানা নির্ধারণ করে দিলেও তা না মেনে সীমানার খুটি উপড়িয়ে ফেলে বাবুল।

এবিষয়ে বুড়িঘাট ইউপির নারী সদস্য নাসিমা বেগম জানান, আমরা স্থানীয়ভাবে উভয়ের সীমানা নির্ধারণ করতে চেষ্টা করেছি। সেক্ষেত্রে ২ জনের মাঝে সমন্বয় করার চেষ্টা করি। দুলাল মিয়া মানলেও বাবুল তা না মেনে সীমানার খুটি উপড়িয়ে ফেলে।

প্রতিবেশী মো. নাসির জানায়, বাবুল মিয়া মিথ্যা অভিযোগ এনে নিরহ দুলালকে ও তার পরিবারকে হয়রানি করছে। বাবুল মিয়ার সাথে আমারও জায়গা সংক্রান্ত বিষয়ে ঝামেলা রয়েছে। আমার সাথে তার জায়গা বিরোধের পাঁচটি মামলার রায় আমি পেয়েছি। কিন্তু এখনো আমি জায়গা দখলে যেতে পারি নাই। বাবুল নিজেই জায়গা দখল করে রেখেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাবুল জানায়, জমি বিরোধের জেরে ইতোমধ্যে দুলাল আমার অনেক টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেছে। দুলাল মিয়া আমার ধানি জমির পাশে পাহাড়ি জমির মালিক। স্থানীয় বিচারকরা আমার ধানি জমির উপর সীমানা নির্ধারণ করে দিলে আমি তা মানিনি। পাহাড়ি জমির মালিককে তো তারা আমার ধানক্ষেতে সীমানা নির্ধারণ করে দিতে পারেন না।

নানিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ সুজন হালদার বলেন, বাবুল মিয়া ও দুলাল মিয়া উভয়ে নানিয়ারচর থানায় একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। এবিষয়ে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

Exit mobile version