জলকেলি উৎসবে মেতেছেন রাখাইন তরুণ-তরুণীরা


কক্সবাজারের রাখাইন পল্লীতে বর্ষবরণে চলছে জলকেলি উৎসব। এতে আনন্দে মাতোয়ারা রাখাইন তরুণ-তরুণী ও শিশুসহ সব বয়সী মানুষ। এ উৎসব উপভোগে ভিড় করছেন স্থানীয়দের সাথে পর্যটকেরাও।
এদিকে প্রশাসনের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাখাইন জাতিগোষ্টির ঐতিহ্যবাহী জলকেলি উৎসব উদযাপনে জোরদার রয়েছে নিরাপত্তা।
রাখাইন পঞ্জিকা অনুসারে ১৩৮৬ রাখাইন বর্ষকে বিদায় এবং ১৩৮৭ রাখাইন নববর্ষকে বরণে গত ১৫ এপ্রিল থেকে আজ ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত ধর্মীয় ও সামাজিক নানা আচার-অনুষ্ঠান চলছে। উৎসব উদযাপনে কক্সবাজারের রাখাইন পল্লীগুলো সেজেছে বর্ণিল সাজে।
রাখাইন তরুণ-তরুণীরা দলবেঁধে বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে নেচে গেয়ে দলবদ্ধভাবে ঘুরছেন এক প্যান্ডেল থেকে অন্য প্যান্ডেলে। তারা একে অপরের দিকে পানি ছুড়ে মেতে উঠেছে আনন্দ উদযাপনে।
রাখাইনদের বিশ্বাস, এই জল ‘মঙ্গলজল’, যা পুরাতন বছরে ব্যাথা-বেদনা ও গ্লানি দূর করে নতুন বছরকে শুভময় আর নির্মল করে তুলে। আর পুরো বছর এই দিনটির জন্য অপেক্ষায় থাকেন রাখাইন সম্প্রদায়ের সব বয়সী মানুষ।
এই উৎসব উপভোগে শুধু রাখাইন সম্প্রদায়ের সাথে ভিড় করেছেন স্থানীয়দের পাশাপাশি বেড়াতে আসা পর্যটকরা। তারা বলছেন, রাখাইনদের ঐতিহ্যবাহী এই উৎসব উপভোগ সত্যি’ই আনন্দের। এটি জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও সম্প্রদায় নির্বিশেষে সকল মানুষের সম্প্রীতির মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে।
কক্সবাজার রাখাইন সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক মংছেন লা রাখাইন জানান, কক্সবাজার রাখাইন পল্লীগুলোতে ৪০ টির বেশী প্যান্ডেলে এই উৎসব উদযাপিত হচ্ছে। ধর্মীয় ও সামাজিক রীতি মেনে কয়েকদিন আগে থেকে শুরু হওয়া এই উৎসবকে সম্প্রীতির বন্ধন।
কক্সবাজার সদর উপজেলা’র ইউএনও নিলুফা ইয়াছমিন চৌধুরী জানান, রাখাইনদের বর্ষবরণ উপলক্ষ্যে ঐতিহ্যবাহী জলকেলি উৎসব শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠভাবে সম্পাদনে নিরাপত্তাসহ সার্বিক ব্যবস্থা নেওয়ার হয়েছে।
বাঙ্গারীর ঐতিহ্যের সাথে মিশে যাওয়া এই জলকেলি উৎসব কক্সবাজারের অনন্য সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত।