parbattanews

জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর নৃশংসতা অব্যাহত রেখেছে মিয়ানমার সামরিক বাহিনী 

ফাইল ছবি

সহিংসতায় বাস্তচ্যুত কাচিন রাজ্যের অধিবাসীর মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী দেশটির উত্তরের সঙ্ঘাতপীড়িত জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে নতুন নৃশংসতা অব্যাহত রেখেছে। মানবাধিকার গ্রুপ অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের নতুন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দেয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে কচিন, লিসু, শান ও তাং বেসামরিক নাগরিকদের প্রতি নৃশংসতার বিস্তারিত বর্ণনা দেয়া হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনী তাদেরকে গ্রেফতার, আটক ও নির্যাতন করছে বলে এতে বলা হয়েছে।

এতে জাতিগত সশস্ত্র গ্রুপগুলোর নির্যাতনকারী কৌশলগুলোর প্রতিও আলোকপাত করা হয়েছে। শান রাজ্যে সামরিক বাহিনীর সাথে লড়াই করার সময় এসব নির্যাতন চালানো হয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, খনিজসম্পদ সমৃদ্ধ এই রাজ্যটি গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গালের অংশবিশেষ। এখানেই বিশ্বের উল্লেখযোগ্য পরিমাণে আফিম ও হেরোইন উৎপাদিত হয়।

অ্যামনেস্টি ইন্টার‌ন্যাশনালের পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার পরিচালক নিকোলাস বেকুইলিন বলেন, মিয়ানমার সামরিক বাহিনী আগের মতোই বিরামহীন ও নির্মম। তারা শান রাজ্যে দায়মুক্তি নিয়েই বেসামরিক নাগরিকদের উপর যুদ্ধাপরাধ চালাচ্ছে।

রোহিঙ্গা অধ্যুষিত আরাকান ছাড়াও কচিন ও শান রাজ্যে অনেক দিন ধরেই সঙ্ঘাত চলছে। ওই রাজ্য দুটিতে খ্রিস্টানদের প্রাধান্য রয়েছে।

কচিন ইন্ডিপেডেন্স আর্মি (কেআইএ) এবং আরো কয়েকটি কচিন বিদ্রোহী দল ১৯৬১ সাল থেকে স্বায়ত্তশাসনের জন্য সরকারি সৈন্যদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এছাড়া শান রাজ্যেও প্রায়ই সামরিক সঙ্ঘাত হয়ে থাকে।

অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর ৯৯তম লাইট ইনফ্রেন্ট্রি ডিভিশন ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী।

এই ডিভিশনটি তার নির্মমতার জন্য বেশ কুখ্যাতি অর্জন করেছে। এই ডিভিশনের কয়েকটি ইউনিট রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছিল। এ কারণে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পাড়ি জমিয়েছিল।

সূত্র: সাউথ এশিয়ান মনিটর

Exit mobile version