জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে যোগ হচ্ছে আরো ৬০০ বাংলাদেশী সৈন্য, বাড়বে বেতন
ডেস্ক নিউজ:
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশের আরো ৬০০ সৈন্য নতুন করে যোগ হবে এবং একই সাথে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের বেতন-ভাতা শতকরা ৬ দশমিক ৭৫ ভাগ হারে বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ভাতা অতিরিক্ত আরো ১০ ভাগ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
শুক্রবার আমেরিকার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি এবং সাধারণ পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ কে আব্দুল মোমেন ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন।
মুদ্রাস্ফীতির কারণে জাতিসংঘের কর্মীদের বেতন-ভাতা শতকরা ৫৭ ভাগ বাড়লেও ১৯৯২ সালের পর শান্তিরক্ষীদের বেতন-ভাতা বাড়েনি। কিন্তু বাংলাদেশের বিশেষ উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় অবশেষে শান্তিরক্ষীদের বেতন-ভাতা বাড়ল।
শান্তিরক্ষীদের বেতন বৃদ্ধির অন্যতম উদ্যোক্তা জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি এ. কে আব্দুল মোমেন তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, শান্তিরক্ষীদের জন্য এটা নিঃসন্দেহে আনন্দের খবর। বাংলাদেশ এখন শীর্ষ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ। বেতন-ভাতা বৃদ্ধিতে আমাদের সৈনিকেরা আরো একটু ভালো জীবন-যাপন করতে পারবেন। একই সঙ্গে আমাদের দেশের আয় বেড়ে যাবে। জাতিসংঘের জনমুখী এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত ও অভিনন্দন জানাই।
জাতিসংঘের এ দুটি সিদ্ধান্তই বাংলাদেশের পক্ষে যাবে। একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশই হচ্ছে শান্তিরক্ষা মিশনে সর্বোচ্চ সৈন্য সরবরাহকারী রাষ্ট্র এবং এই সংখ্যা হচ্ছে ৮ হাজার ৮২৬।চারটি মহাদেশে ১৬ মিশনে ১১৬ দেশের মোট ১ লাখ ১৩ হাজার ৭৬৬ জন সৈন্য ও পুলিশ দায়িত্ব পালন করছেন শান্তিরক্ষীরা। এর মধ্যে বাংলাদেশের ৮ হাজার ৮২৬ জন। ২০১০ সালে বাংলাদেশ শান্তিরক্ষীদের বেতন-ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়। সেই প্রস্তাবে সাড়া দেয় পাকিস্তান, ভারত, নাইজেরিয়া ও উরুগুয়ে।