parbattanews

জাল ভিসায় ওমান গিয়ে লাশ হলো বড় মহেশখালীর জাগিরাঘোনার ছালামত উল্লাহ

মহেশখালী প্রতিনিধি:

বড় মহেশখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক বাদশা মিয়ার দুইপুত্র ওমান প্রবাসী রাহামত উল্লাহ প্রকাশ রুবেল ও তার ভাই সালাম দীর্ঘদিন ধরে ভূয়া জাল ভিসার মাধ্যমে ওমান পাঠিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বড় মহেশখালী জাগির ঘোনা এলাকার আনোয়ার পাশার পুত্র শহিদুল্লাহ নামের এক ব্যক্তি।

২৭ জুলাই কক্সবাজার শহরের একটি আবাসিক হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগ কালে শহিদুল্লাহ জানান, তার আপন ছোট ভাই সালামত উল্লাহকে বিগত পাঁচ মাস আগে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা বাদশা মিয়ার পুত্র রাহামত উল্লাহ প্রকাশ রুবেল ওমান নেওয়ার কথা বলে ৩ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা নেই।

একটি ওমানের ভিসা পাঠিয়ে বিগত চার মাস আগে ওমানে নিয়ে যায় সালামত উল্লাহকে, কিন্তু সেটি ছিল জাল ভিসা যার কারণে আমার ছোট ভাই সালামত উল্লাহ ওমানে গিয়ে কোন কাজ করার সুযোগ পায়নি।
বিষয়টি আমাদের পরিবারের সদস্যদের অবগত করলে আমরা বার বার রাহামত উল্লাহ রুবেলের  পিতাকে অবগত করলেও কোন কাজ হয়নি।

অন্যদিকে আমার ছোট ভাই সালামত উল্লাহ ওমানে মানবেতর জীবন যাপন করতে থাকে যে ক’মাস বেঁচে ছিল প্রবাস জীবনে।

আমার ছোট ভাই সালামাত উল্লাহ ওমান যাওয়ার পর থেকে বাদশা মিয়ার পুত্র রাহামত উল্লাহ রুবেল কে একামা দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করলে দিব দিব বলে ঘুরাতে থাকে। এক পর্যায়ে গত ২২ জুলাই কাজ করার জন্য একামা দেওয়ার কথা বলে না দেওয়াতে আমার ছোট ভাই সালামত উল্লাহ’র সাথে রাহামত উল্লাহ’র ঝগড়া হয়।

সে সময় ওমানে থাকা রাহামত উল্লাহ“র” ছোট ভাই মো. সালামসহ আমার ছোট ভাইকে মারধর করে বলে জানিয়ে বাংলাদেশে থাকা পরিবারের সদস্যদের ফোন করে জানান।এতে ক্ষিপ্ত হয় জাল ভিসা দিয়ে ওমানে নিয়ে যাওয়া রাহামত উল্লাহ ও তার ছোট ভাই মো. সালাম পরে ২৪ জুলাই আমার ভাইকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে ওমানে।

বিষয়টি জানার জন্য চেষ্টা করলে রাহামত উল্লাহ নানা সময়ে নানা কথা বলে বিভ্রান্ত করে আমাদের। পরে অনেক চেষ্টার মাধ্যমে ওমানে থাকা এলাকার অন্য প্রবাসী ভাইদের সহযোগিতায় জানতে পারি আমার ছোট ভাই সালামত উল্লাকে গলা কাটা অবস্থায় লাশ পাওয়া গেছে।

আমি ও আমার পরিবারের দাবি এটি একটি পরকিল্পিত হত্যাকাণ্ড হয়েছে যার মূলে রয়েছে জাল ভিসার মাধ্যমে মানবপাচারকারী বড় মহেশখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা বাদশা মিয়ার দুই পুত্র রাহামত উল্লাহ ও তার ভাই মো. সালাম।

আমি ওই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষী মানবপাচারকারী চক্রের সদস্য রাহামত উল্লাহ রুবেল ও তার ভাই মো. সালাম এর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

একই সাথে আমার ছোট ভাই সালামত উল্লাহ’র লাশ দেশে ফিরিয়ে আনতে  সংশ্লিষ্ট প্রশাসনসহ সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

Exit mobile version