জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার
সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস। এর থেকে রক্ষা পায়নি বাংলাদেশও। এ মহামারী ভাইরাসের কবল থেকে মানিকছড়ি উপজেলার মানুষকে রক্ষা করতে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিরলসভাবে দিনরাত উপজেলার এই প্রান্তর থেকে অন্য প্রান্তর ছুটে বেড়াচ্ছেন ইউএনও তামান্না মাহমুদ।
তিনি কখনও ছুটছেন জনসাধারণকে সচেতন করতে। কখনও ছুটছেন দরিদ্র অসহায় মানুষের কাছে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিতে। আবার কখনও ছুটে যাচ্ছেন বিভিন্ন হাট-বাজারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাজার মনিটরিং করতে । ইউএনও’র এ নিরন্তন ছুটে চলা শুধু মানুষকে একটু সেবা দেয়া। দম পালানোর সময় নাই ইউএনও’র। তার একটাই শপথ কিভাবে মানিকছড়ি উপজেলাকে করোনা মুক্ত রাখা যায় সেই চেষ্টা।
ইউএনও তামান্না মাহমুদ যেখানে অনিয়ম-অসঙ্গতি, সেখানে তিনি দ্রুত ছুটে যাচ্ছেন। সার্বক্ষণিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও মুঠোফোনের মাধ্যমে গোটা উপজেলার সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। সরকারি বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা ও বিজ্ঞপ্তি মাইকিং ফেসবুকের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক লোকজনকে জানিয়ে দিচ্ছেন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে মানুষকে ঘরে রাখতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। ইউএনও’র এসব ইতিবাচক কর্মকান্ড উপজেলার সাধারণ মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে।
দূরন্ত ছুটে চলা, অবিরাম জীবনের অর্থ খুঁজে ফেরা এই মানুষটি নিজেও জানেন প্রাণঘাতি নোবেল করোনাভাইরাস কতটা ভয়ংকর। তবুও ভয়কে জয় করে সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে এবং সচেতন করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। ইউএনওর অক্লান্ত পরিশ্রমে বাড়ছে উপজেলার সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতা।
ইউএনও তামান্ন মাহমুদ বলেন আমি, এসিল্যান্ড এবং ওসি সাহেব নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষকে করোনা থেকে রক্ষা করতে দিনরাত পরিশ্রম করছি। মানুষ নিজেরা সচেতন না হলে আমাদের পক্ষে গোটা উপজেলা কি ঠিক রাখা সম্ভব?
তিনি আরো বলেন, ‘তবে মানিকছড়ি উপজেলায় এখন পর্যন্ত কোন করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি। তাই সকলের কাছে আমার বিশেষ অনুরোধ দয়া করে প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হবেন না। নিজে বাঁচুন অন্যকে বাঁচতে সহায়তা করুন।’