জুলাই ২০২৪ স্বপ্নের কী পরিণতি হবে?


‘নিও প্যাট্রিমনিয়ালিজম’ রাষ্ট্র বিজ্ঞানে একটি শাসন ব্যবস্থা, যা গণতন্ত্রকে অসৎভাবে নিয়ন্ত্রণ (Manipulate) করে একটি গোষ্ঠী বা রাজনৈতিক দল দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকে। সেই ক্ষমতায় থাকার জন্য তারা খদ্দেরবাদী রাজনীতির (Clientist Politics) আশ্রয় নেয়। তাদের দলের লোক বা অনুগতদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বসিয়ে শাসন ব্যবস্থা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে একদিকে যেমন প্রতিষ্ঠানগুলো মেধাশূন্য করে, অন্যদিকে সেগুলো ধ্বংস করে ফেলে। এসবের একটাই উদ্দেশ্য ক্ষমতা ধরে রাখা। আফ্রিকাতে একটা গবেষণাতে দেখা গেছে সেখানে ‘নিও প্যাট্রিমনিয়াল’ শাসন ব্যবস্থার জীবন গড়ে ২৫-৩৫ বৎসর। এরপর সেখানে একটা গণজাগরণ/রিভুলুশান হয়। তারপর একটা রিভুলুশান সরকার গঠন হয়। তবে সেই রিভুলুশান সরকার মানুষের আশা-আকাংখা, স্বপ্ন পূরণে ব্যর্থ হয়। কারণ দন্ডায়মান মেধাহীন দলীয় আদলে গড়া প্রতিষ্ঠানগুলো রিভুলুশান সরকারকে সহায়তা করতে ব্যর্থ হয়। নতুন সরকার শুধু পূর্বের শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়াকে প্রধান এজেন্ডা হিসেবে দেশ চালায়।
অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান, বৈদেশিক বিনিয়োগ, আইন শৃঙ্খলার উন্নতি, জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন, নাগরিক জীবনের মৌলিক বিষয়গুলো তাদের রাডারের বাইরে থেকে যায় বা সেগুলো সহনীয় পর্যায়ে আনার দক্ষতার অভাবের কারণেও হতে পারে। এরকম একটা পরিস্থিতিতে মানুষ আবার অতিষ্ঠ হয়ে যায়। ফলে রিভুলুশান সরকারকে ২-৩ বৎসবের মধ্যে বিদায় নিতে হয়। এরপর গণতান্ত্রিকভাবে মোটামুটি একটা নির্বাচন হয়। আর একটা নতুন সরকার ক্ষমতায় আসে। তবে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, শিক্ষা, স্বাস্থ্যের সকল প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্বল ও অকার্যকর হওয়ার কারণে (Checks and Balance এর অভাবে) নির্বাচিত দলটি পর্যায়ক্রমে Clientist Politics, ভিন্নমতকে দমন, প্রতিষ্ঠানগুলোকে আবার নিয়ন্ত্রণে নেয়া ইত্যাদির মাধ্যমে পুনরায় নিও প্যাট্রিমনিয়ালিজমের দিকে ধাবিত হয়। মোটাদাগে ফরমেট এটাই তবে সব জায়গাতে হুবহু এভাবেই যে হবে সেটা নাও হতে পারে। আপাতত আমি পাঠকদের নিও প্যাট্রিমনিয়ালিজমের ফরমেট টা মনে রাখার জন্য বলছি, যাতে বাংলাদেশের পরিস্থিতির সাথে মেলাতে সুবিধা হয়।
এবার রিভুলুশান নিয়ে কিছু কথা বলি। কোন রিভুলুশান সফল হয় না যদি তাদের সাথে সরকারের কোন না কোন এক বা একাধিক প্রতিষ্ঠান প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যোগদান না করে। এ বিষয়ে ‘আরব বসন্তের’ (Arab Spring) উদাহরণ দেখা যাক। তিউনিশিয়াতে সবজি বিক্রেতা বুয়া আজিজি নিজের গায়ে আগুন জ্বালিয়ে আত্মহত্যার মাধ্যমে আরব বসন্তের সূচনা করে। যা প্রেসিডেন্ট বেন আলীকে ২৩ বৎসর পরে ক্ষমতা ছেড়ে যেতে বাধ্য করে। আন্দোলন দমনে বেন আলী রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠান নিয়োজিত করে কিন্তু সেনাবাহিনী প্রধান আমর রশিদ জনগণের উপর গুলি চালাতে পারগতা প্রকাশ করেন।
ফলে জনগণ সেনাদের মৌন সমর্থন পেয়ে আন্দোলন আরও বেগবান করে যাতে করে বেন আলী দেশ ছেড়ে সৌদি আরব পালিয়ে যান। একইভাবে মিশরে তাহিরী স্কয়ারের আন্দোলন হোসনী মোবারকের ৩০ বৎসরের শাসনের অবসান ঘটাতে পারতো না, যদি না সশস্ত্রবাহিনীর সুপ্রীম কমান্ডের প্রধান ফিল্ড মার্শাল হোসেন তানতাউই তাহিরী স্কয়ারে আন্দোলনকারীদের উপর গুলি চালাতে অস্বীকার না করতো। অর্থাৎ রুলিং এলিটদের মাঝে ভাঙন না হলে ‘নিও প্যাট্রিমনিয়াল বা ফ্যাসিবাদী বা একনায়ক বা রাজা/ আমিরদের উৎখাত করা যায় না। অবশ্য লিবিয়ার ক্ষেত্রে এলিটদের সাথে ভাঙন ধরিয়েছিল ন্যাটোর সরাসরি আক্রমণ, যা লিবিয়ায় গাদ্দাফীর অনুগত বাহিনীকে মিলিশিয়াদের বিপক্ষে ধরাশায়ী করে দেয় অর্থাৎ এলিটদের মাঝে বহিঃশক্তি দ্বারা ভাঙন ধরানো হয়।
পক্ষান্তরে, বাহরাইন বা সৌদি আরবে রুলিং এলিটদের মাঝে আন্দোলন ভাঙন ধরাতে ব্যর্থ হয়, সুতরাং বাহরাইনে আন্দোলন বেগবান হলেও সরকার তা শক্ত হাতে দমন করতে সমর্থ হয়। অন্যদিকে সিরিয়াতে বহিঃ শক্তির মদদে সিয়া-সুন্নী ‘ফল্ট লাইনে’ বিভক্তি ঘটালেও সশস্ত্রবাহিনীর ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বড় একটা অংশ বাশার আল আসাদের পক্ষে থেকে যায়। ফলে সেখানে গৃহযুদ্ধ (Civil War) রুপ নেয় কিন্তু বাশার আল আসাদকে তখন ক্ষমতাচ্যুৎ করা যায়নি।
বাংলাদেশের ক্ষেত্রে শুরু থেকে জুলাই ২০২৪ অভ্যুত্থানে সেনাবাহিনীর সিংহভাগ জনগণের ওপর কঠোর হওয়ার বিপক্ষে ছিল। সেনাবাহিনী প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়ে বাহিনীর Sentimentএবং জনগণের পক্ষে দাঁড়িয়ে, জনগণের চাওয়া-পাওয়ার প্রতি সম্মান জানিয়ে আন্দোলনকারীদের উপর গুলি চালাতে অস্বীকার করার পাশাপাশি তাদের নিরাপত্তা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রকৃত পক্ষে সেনাবাহিনী বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা নীতি অনুযায়ী তাদের দায়িত্ব পালন করেছে, যেখানে জনগণের নিরাপত্তা বিধানের নির্দেশনা আছে। সুতরাং বাংলাদেশেও রুলিং এলিটদের মাঝে (Institutional Fracture) ভাঙন ধরে ফলে আন্দোলন আরও বেগবান হয় আর সরকারের পতন ঘটে।
এখন দেখা যাক আরব বসন্তের সফল আন্দোলনের দেশগুলোর বর্তমান অবস্থা।
মিশর : আন্দোলনের পর সেখানে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়। মুসলিম ব্রাদারহুড প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট তথা মোহাম্মদ মোরসির নেতৃত্বে ফ্রিডম ও জাস্টিস পার্টি ক্ষমতায় আসে। ফ্রিডম ও জাস্টিস পার্টি নতুন ছিল। তাদের দেশ পরিচালনা বা রাজনীতি পরিচালনার অভিজ্ঞতার অভাব ছিল। মানুষের কর্মসংস্থান, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, স্থিতিশীলতা আনায়নে ব্যর্থ হয় তারা। তারা যেটা ভালো পারতো সেই দিকে জোর দেয় অর্থাৎ ইসলামী দেশে ড্রেস কোড কেমন হবে। নারীদের অবস্থান রাষ্ট্রীয় জীবনে কেমন হবে। শরিয়া আইন প্রবর্তনের প্রয়োজনীয়তা ইত্যাদি। সাথে সাথে ভূ-রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার অভাবে গাজাতে ফিলিস্তিনীদের (হামাসের) সহায়তা শুরু করে, যা ইজরাইল ও আমেরিকাকে হতাশ করে। অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোর আমির/রাজাগণ মুসলিম ব্রাদারহুডকে (ফ্রিডম ও জাস্টিস পার্টিকে) তাদের (ক্ষমতায় টিকে থাকার) জন্য হুমকি মনে করতে থাকে। মোট কথা, তারা দেশের মানুষের স্বপ্ন পূরণে ব্যর্থ হয় ও ভূরাজনীতি ম্যানেজ করতেও ভুল করে। ফলে মাত্র এক বছরের মাথায় মানুষ আন্দোলন শুরু করে। এই পরিস্থিতিতে, মিলিটারি- আল-সিসির নেতৃত্বে ক্ষমতা দখল করে নেয়। মিশর এখন আবার সেই স্বৈরশাসনের অধীনে গত এক যুগ ধরে আছে। এখন অন্দোলনের/Free Speech এর আর সুযোগ নেই এ যেন দ্বিতীয় হোসনী মোবারকের আগমন ঘটেছে।
তিউনিশিয়া : সবাই ভেবেছিল তিউনিশিয়া হয়তো আরব বসন্ত তথা গণতন্ত্রের একটা উৎকৃষ্ট উদাহরণ হতে চলেছে। ২০১১ সাল থেকে একনায়কতন্ত্রের অবসান হলেও তিউনিশিয়া তাদের রাজনৈতিক, আর্থিক, সামাজিক ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানগুলোকে সঠিকভাবে শক্তিশালী করতে ব্যর্থ হয়েছে। ধীরে ধীরে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত বর্তমান রাষ্ট্রপতি কায়েস সাঈদ (২০১৯ সাল থেকে ক্ষমতায় আছেন) রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি করে জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত ও প্রধানমন্ত্রীকে উৎখাত করেছেন। বিচারব্যবস্থা করায়ত্ব ও রাজনৈতিক বিরোধীদের দমনপীড়ন করে চলেছেন। সংসদ ভেঙে দেয়ার পর থেকে তিনি Presidential Decree -এর দ্বারা দেশ পরিচালনা করছেন। শাসনতন্ত্রে পরিবর্তন এনেছেন। ২০২৪ সালে প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের মাধ্যমে পুনরায় ক্ষমতায় এসেছেন। তিউনিশিয়া আবার Back to Square One। তিউনিশিয়াতে ২০১১ সালে আরব বসন্তের পর ৭/৮ বৎসরে শাসন ব্যবস্থার যে Checks and Balance সৃষ্টি করা হয়েছিল কায়েস সাঈদ ২০১৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর তা দুর্বল বা ধ্বংস করেছেন। আমার ধারণা সেখানে সামাজিক ও গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালীভাবে গড়ে ওঠার আগেই কায়েস সাঈদ সেগুলোকে অকার্যকর করার সুযোগ নিয়েছে, অন্যদিকে তিউনিশিয়াতে Credible Civil Society গড়ে উঠেনি; যার কারণে কায়েস সাঈদ, বেন আলীর পথে হাঁটার সুযোগ পেয়েছেন।
ফ্যাসিস্ট চলে যাওয়া মানে দেশ ঠিক হয়ে যাবে- এমন ভাবার কোনো কারণ নেই, সেটা আমরা সবাই অনুধাবন করছি। হোসনী মোবারক চলে যাবার পর মিশর মনে করেছিল দেশে জনগণের শাসন এসে গেছে। মোবারক চলে গেলেও দশকের পর দশক ধরে যে State Structure, Ruling Elites, Powerful Secret Service, Crony Capitalist তৈরি করা হয়েছিল সেটা তো উবে যায়নি বরং এই সুবিধাভোগীরা নিজেদের মধ্যে Cooperatio-এর মাধ্যমে আরও একতা বদ্ধ হয়েছে আর আন্দোলনের যোদ্ধারা পরিকল্পনাবিহীন দেশ গঠন ও নিজেদের মধ্যে বিভক্তির কারণে দেড় বছরের মাথায় আবার সেই স্বৈরাচার ফিরে এসেছে।
বাংলাদেশের কী হবে?
মিলিটারি একাডেমিক হিসাবে আমরা শুধু বিশ্লেষণ করি, প্রস্তাবনা বা ভবিষ্যৎ বাণী করি না। সেই আংগিকে বাংলাদেশ কেস একটা চমৎকার গবেষণার বিষয়বস্তু হতে পারে। প্রথমে দেখা যাক আমরা জাতীয় জীবনে কতবার সুযোগ হারিয়েছি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর আমরা স্বাধীন দেশ পেলাম। নিজেদের দেশকে নিজেদের মত করে গড়ে তোলার সুযোগ এলো। ‘৭২ সালে সেই সময়ে বাংলার অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান দেশের ক্ষমতা নিলেন তবে, অল্প সময়ের মাঝে গণতন্ত্র হারিয়ে স্বপ্ন, দুঃস্বপ্ন হয়ে গেল। এর পর ১৯৭৫ সাল এলো, ক্ষমতা পাল্টানো হলো কিন্তু দুঃস্বপ্ন যেন যায় না। এরশাদ ক্ষমতায় নয় বছর ছিলেন, মাহাথির হতে পারতেন। কিন্তু অন্য পথে হাঁটলেন। ১৯৯১ সালে স্বৈরাচার এরশাদ পতনের পর দেশবাসী আর একবার স্বপ্ন দেখলো গণতন্ত্র, সুশাসন, সামাজিক নিরপেক্ষতা ও নিরাপত্তার। এরপর পাঁচ বছরের পালা বদলের রিলে রেস শুরু হয় আর দেশ দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যামপিয়নে রেকর্ড করতে থাকে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে ভোটে সরকার পরিবর্তন হয় কিন্তু খদ্দেরবাদী রাজনীতি (Clientist Politics) জারি থাকে। এভাবে আর একবার সুযোগ আসে ১/১১ মাধ্যমে ২০০৭-এ।
দু’বছর সময় ছিল রাজনৈতিক দল ও দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কারের কিন্তু মাইনাস-প্লাসের চক্করে আবার জাতি লক্ষচ্যুত হলো। তবে উত্তম সুযোগ এসেছিল ২০০৯ সালে স্বপ্নপূরণের। সেই স্বপ্ন সবচেয়ে বড় দুঃস্বপ্নে রুপান্তরিত হয়। শেখ হাসিনা ১৬ বছর ক্ষমতায় ছিলেন, লিকোয়ান ইউ হতে পারতেন। পরিশেষে, জুলাই ২০২৪ সাল আর একটা সুযোগ এনে দিয়েছে। জাতীয় জীবনে এভাবে সুযোগ বার বার আসে না সেদিক থেকে আমরা জাতি হিসাবে ভাগ্যবান যে, প্রকৃতি আমাদের ঠিক হওয়ার জন্য বার বার সুযোগ দিচ্ছে আর সেগুলিকে আমরা আক্ষেপে রূপান্তর করছি।
পরিতাপের বিষয়, সংস্কারের চেয়ে নির্বাচনের প্রতি আমাদের আগ্রহ বেশী। প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিক করার চেয়ে ক্ষমতার আগ্রহ বেশী। এসবের কারণ হলো আমাদের জাতীয় জীবনে ব্যক্তির স্বার্থ গোষ্ঠী/দলের চেয়ে বড়। আর গোষ্ঠী/দলের স্বার্থ দেশের চেয়ে বড়।
আমরা কোন দিকে যাচ্ছি?
আমরা যেভাবে চলছি এতে করে সুযোগ হারানোর ওস্তাদ জাতি হিসাবে আমরা বর্তমান সুযোগটাও হাতছাড়া করবো। আমার মনে হচ্ছে, আমাদের জন্য Worst Case Scenario; মিশর আর Best Case Scenario তিউনিশিয়া। তবে বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীর ক্ষমতার প্রতি অনাগ্রহ (Distaste for Power) মিশর ও তিউনিশিয়া মিলিয়ে একটা হাইব্রীড/সংমিশ্রণ হতে পারে। পরিশেষে আমি প্রার্থনা করছি, আমার বিশ্লেষণ যেন ভুল হয়। জুলাই ২৪-এর আহত ও শহীদের প্রতি সন্মান জানিয়ে এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ন্যূনতম সিংগাপুর হওয়ার পথে হাঁটি।
.
♦ লেফটেন্যান্ট জেনারেল ড. মো. মাহফুজুর রহমান: বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। সাবেক প্রিন্সিপ্যাল স্টাফ অফিসার, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।