জেএসএসের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছে রাঙামাটির স্থানীয় প্রশাসন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বর্ধিত সভায় অভিমত
স্টাফ রিপোর্টার:
জেএসএসের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছে রাঙামাটির স্থানীয় প্রশাসন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বর্ধিত সভায় জোরালে ভাষায় অভিযোগ করেন রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল জব্বার সুমন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি জেএসএস’র এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে কাজ করছে রাঙামাটির স্থানীয় প্রশাসন। এমনই মনে হচ্ছে আমাদের। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া ৬ষ্ঠ পর্যায়ের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যে ধরনের নূন্যতম সহযোগিতা আইনানুগ ভাবেও পাওয়ার কথা ছিলো সেই ধরনের সহযোগিতা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা হয়নি বলে অভিযোগ করে ছাত্রলীগ সভাপতি জানান, আঞ্চলিকদলীয় সন্ত্রাসীদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে ছাত্রলীগ ও আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের অসহযোগিতা করছে স্থানীয় প্রশাসন।
রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আয়োজিত দুইদিনব্যাপী কেন্দ্রীয় বর্ধিত সভায় অংশ নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করে নিজের বক্তব্যে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এই দাবি জানান।
সারাদেশের ১২০টি সাংগঠনিক ইউনিটের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক আয়োজিত উক্ত বর্ধিত সভায় ছাত্রলীগ সভাপতি সুজন আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম জন সংহতি সমিতি জেএসএস, ইউপিডিএফ ও সংস্কারপন্থী এমএন লারমা গ্রুপের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হাতে থাকা অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধে বিভিন্ন সময়ে সাংবাদিক সম্মেলন, মানববন্ধনসহ বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচীর মাধ্যমে দলীয় হাই কমান্ড ও সরকারের উচ্চ পর্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে পার্বত্য এলাকা থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালনার জন্য আমরা কর্মসূচী পালন করেছি। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনের অসহযোগিতার কারনে তৃণমুল নেতাকর্মীরদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন হচ্ছে না, বারবারই উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ চাকমার উপস্থিতিতে রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল জব্বার সুজন সিনেটের বক্তব্যে আরো বলেন, এখনই যদি আঞ্চলিক দলীয় সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা না হয়, তাহলে ভবিষ্যতে রাঙামাটি তথা পার্বত্য চট্টগ্রামে ছাত্রলীগসহ আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের কেউই সুষ্ঠুভাবে রাজনীতি করাতো দূরের কথা নিরাপদে চলাফেরাও করতে পারবে না।
রোববার সকাল ১০ থেকে শুরু হওয়া এই বর্ধিত সভার উদ্বোধন করেন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমানে যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি। দুইদিন ব্যাপী চলা এই বর্ধিত সভা আজ বিকেল পর্যন্ত চলবে বলে জানা গেছে।