parbattanews

জেএসএস নেতা সুরেশ চাকমার মরদেহ পায়নি পুলিশ

নিহত জেএসএস নেতা সুরেশ কান্তি চাকমা

বাঘাইছড়ি উপজেলা জেএসএস (মূলের) সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিচার শাখার প্রধান নিহত সুরেশ চাকমার মরদেহ খুঁজে পায়নি পুলিশ। এ ব্যাপারে তার পরিবার ও স্থানীয়রা পুলিশের কাছে মুখ খুলতে রাজী হয়নি।

তবে নিহত সুরেশের পরিবার পুলিশকে সহযোগিতা না করলেও তার মৃত্যুর ব্যাপারটি নিশ্চিত হতে পেরেছে পুলিশ।

আগেই বলা হয়েছে,  রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার বঙ্গলতলী ইউনিয়নের মধ্যম বঙ্গলতলী এলাকায় প্রতিপক্ষের গুলিতে জেএসএস সন্তুলারমা দলের থানা কমিটির বিচার বিভাগের প্রধান নিহত হয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুক্রবার ১৭ সেপ্টেম্বর ভোর ৪ টার দিকে উপজেলার বঙ্গলতলি ইউনিয়নের বি-ব্লক এলাকায় সুরেশ চাকমা ওরফে জীবেশ চাকমা (৫৬) নিজ বাড়ীতে প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত হয়েছেন।

জানা যায়, নিহত সুরেশ চন্দ্র, সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সবশেষ তিনি সংগঠনটির উপজেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিচার কমিটির উপজেলা প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, রাতে নিজ বাড়িতে ঘুমাচ্ছিলেন সুরেশ। এসময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত সুরেশ চাকমাকে গুলি করে। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর পালিয়ে যায় তারা। তবে প্রাণনাশের ভয়ে তিনি নিয়মিতই নিজ বাড়ির বাইরে থাকতেন বলেও জানান স্থানীয়রা।

পুলিশ জানায়, সকালে হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কোনো মরদেহ পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, পুলিশ পৌঁছানোর আগেই মরদেহ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন খান বলেন, ‘হত্যাকাণ্ড হয়েছে সেটি পারিপার্শ্বিক অবস্থা দেখে নিশ্চিত ভাবেই বলা যায়। তবে নিহতের মরদেহ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা চেষ্টা করছি মরদেহ উদ্ধারের। কিন্তু স্থানীয়রাও এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছে না।’

জেএসএস সন্তুলারমা দলের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিপ চাকমা ওরপে দীপ বাবু সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি পার্বত্যনিউজকে বলেন, ‘আমাদের থানা কমিটির সদস্যকে ঘুমন্ত অবস্থায় নিজ বাড়ীতে জেএসএস এমএন লারমা দলের অস্ত্রধারীরা গুলি করে হত্যা করেছে। আমি এই হত্যাকাণ্ডের জন্য তীব্র নিন্দা জানাই। এবং এই হত্যাকাণ্ডের সাথে যারা জড়িত তাদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবী করছি।’

তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে জেএসএস এমএনলারমা দলের সভাপতি জ্ঞানজীব চাকমা পার্বত্যনিউজকে বলেন, ‘আমাদের দলে কোন সন্ত্রাসী কার্যক্রম নাই। আমরা শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের কাজ করছি। তাঁদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে কারণে তারা নিজেদের লোকের গুলিতে নিজেরাই নিহত হয়েছে।’

Exit mobile version