ঝাউবাগানে রোমিওদের আস্তানায় ট্যুরিস্ট পুলিশের হানা


কক্সবাজার শহরের কবিতা চত্তর সংলগ্ন সমুদ্র পাড়ের ঝাউবাগানের ভেতরে চেয়ার ভাড়া ব্যবসার আড়ালে চলছে অসামাজিক কর্মকান্ড। যেখানে স্কুল-কলেজের ড্রেস পরা অনেক প্রেমিক যুগলকে দেখা যায়। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এই অসামাজিক কাজ বন্ধে এবার অভিযান চালিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
সোমবার বিকালে ট্যুরিস্ট পুলিশের চলা এই অভিযানে দিকবিদিক পালিয়ে যায় প্রেমিক যুগল। এসময় অপকর্মে ব্যবহৃত চেয়ার ভেঙ্গে ফেলার পাশাপাশি করা হয় জব্দ।
প্রাপ্ত অভিযোগে জানা যায়, কবিতা চত্তরের ঝাউবাগান এলাকায় এসব অপকর্ম পরিচালনা করছে ইলিয়াস নামে এক ব্যক্তি।
তিনি দীর্ঘদিন ওখানে অবৈধভাবে দোকান ও গাড়ি ওয়াশের আড়ালে চালাচ্ছেন নানা অপকর্ম। সাধারণত ঘন্টায় ছাতা চেয়ার ৩০ টাকা ভাড়া হলেও অনৈতিক কর্মকান্ডের পরিবেশ তৈরী করে এসব চেয়ার ঘন্টায় ভাড়া দিচ্ছে ১০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত।
এমনও খবর রয়েছে ইলিয়াসের লোকজনই প্রেমিক যুগলের ভিডিও ধারণ করে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। তার লোকজন চারদিকে পাহারায় থেকে নিখুঁতভাবে পরিচালনা করছে এসব অপকর্ম।
ঝাউবাগানে রাজত্ব করা ইলিয়াসের বিরুদ্ধে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার লোকজনের রয়েছে আরো নানা অভিযোগ। তাদের অভিযোগ কবিতা চত্তরে পর্যটকদের পার্কিং করা বাস থেকে আদায় করছে চাঁদা। তার নিয়ন্ত্রনেই চলছে ওই জায়গার ছিনতাই সিন্ডিকেট।
গাড়ি ওয়াসের পরিত্যাক্ত ঘরে চলে মাদক সেবন ও বেচাবিক্রি। ইলিয়াসের এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে সে নিজেকে প্রশাসনের আস্থাভাজন বলে প্রচার চালিয়ে লোকজনকে হুমকির মধ্যে রাখছে। তার অত্যাচারে অতিষ্ট এলাকাবাসী।
এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইলিয়াস বলেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সঠিক নয়। এসব চক্রান্ত ছাড়া কিছুই নয়।
এ ব্যাপারে ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ জানান, পর্যটন সংশ্লিষ্ট জায়গায় এই ধরণের অপকর্ম কোন ভাবেই কাম্য নয়। এসবের বিরুদ্ধে ট্যুরিস্ট পুলিশ সবসময় কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। এই অপকর্মে যে বা যারা যুক্ত আছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ট্যুরিস্ট পুলিশের চলা অভিযানে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে এলাকার লোকজন। সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলে প্রশংসা। তবে অনেকের মনে প্রশ্ন এই অভিযান কতটা নিয়মিত থাকবে এবং এই অপকর্ম স্থায়ীভাবে বন্ধ হবে কিনা?