ঝুঁকিপূর্ণ মানিকছড়ির বড়বিল খালের বাঁশের সাঁকো : সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ

fec-image

খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার বড়বিল খালের ওপর স্থানীয় উদ্যোগে নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে বাটনাতলী ও তিনটহরী ইউনিয়নের প্রায় দশ হাজার মানুষ। উপজেলার দুই ইউনিয়নের কয়েকশ শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ তিনটহরী-বাটনাতলী সংযোগ সড়কে যাওয়া-আসা করতে বড়বিল খালের ওপর থাকা এই সাঁকোর ওপর নির্ভরশীল।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বড়বিল খালের উপর ব্রিজ না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি ঢলে বাঁশের সাঁকোটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে তিনটহরী ও বাটনাতলী ইউনিয়নের বাসিন্দাদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। কিছুদিন আগে টানা বর্ষণের ফলে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢলে বড়বিল খালের উপর পূর্বে নির্মিত বাঁশের সাঁকোটি পানিতে তলিয়ে একপর্যায়ে ভেসে যায়। খালের দুই পাড়ের বাসিন্দারা দুই কিলোমিটার পায়ে হেঁটে তুলাবিল এলাকা ঘুরে পারাপার হচ্ছে। সোমবার (১৯ অক্টোবর) স্থানীয়ভাবে উদ্যোগ নিয়ে এলাকাবাসী সাঁকোটি পুনর্নিমাণ করতে দেখা গেছে।

জানা গেছে, স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন সাঁকোটি পার হতে বাধ্য হয়। প্রতি বছর দুই ইউনিয়নের বাসিন্দারা বর্ষা এলে তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য যাতায়াত সমস্যার কারণে বাজারজাত করতে পারে না। তাছাড়া তিনটহরী ইউনিয়নের পাহাড়ি ও বাঙালি অধিবাসীরা এ খালের ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে বড়বিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং বাটনাতলী ইউনিয়নের বড়বিল সারি পুত্র বৌদ্ধ বিহার, বড়বিল জামে মসজিদসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন যাতায়াত করে থাকে।

বড়বিল গ্রামের করবারি রুইসা মারমা জানান, সম্প্রতি খাগড়াছড়ির পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী এলাকাটি পরিদর্শনে আসলে ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানান এলাকাবাসী। তিনি তখন এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণের আশ্বাস দিলেও আজো সেটি আলোর মুখ দেখেনি।

এ প্রসঙ্গে ২নং বাটনাতলী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শহিদুল ইসলাম মোহন বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদে বড় বরাদ্দ তেমন না থাকায় ব্রিজ নির্মাণ করতে পারছি না। তবে আগামী বাজেটে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মধ্যমে বরাদ্দ পাওয়া গেলে ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: পার্বত্য জেলা পরিষদ, বাঁশের সাঁকো, মানিকছড়ি
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন